বিএনএ কক্সবাজার : বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ মাস্টারের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর )বিকেলে লম্বাশিয়া মসজিদে জানাজা শেষে বাড়ির পাশে কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে মুহিবুল্লাহর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর ) রাতে আলোচিত এই রোহিঙ্গা নেতা খুন হন। এক দল দুর্বৃত্ত তার ওপর গুলি চালায়। যার তিনটি তার শরীরে লাগে।
স্বজনরা জানিয়েছেন, মুখে কাপড় বাঁধা থাকলেও খুনে অংশ নেয়া বেশ কয়েকজনকে চেনা গেছে। এ ঘটনার জন্য রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসাকে দায়ী করেন তারা। যদিও হত্যাকাণ্ডটি কারা ঘটিয়েছে সে দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি।
মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দাবি আদায়ে কাজ করছিলেন মুহিবুল্লাহ। ২০১৯ সালে কুতুপালং শিবিরে রোহিঙ্গাদের বিশাল সমাবেশ করে আলোচনায় আসেন তিনি। রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধি হিসেবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও দেখা করেন মহিবুল্লাহ। সফর করেন সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এদিকে, মহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য। বৃহস্পতিবার ক্যাম্পে এনজিও কার্যক্রমও বন্ধ ছিল।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ক্যাম্পে অতিরিক্ত পুলিশ ও এপিবিএন সদস্য মোতায়েন করা রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার পরিবার এখনও কোন মামলা করেনি। তবে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করার কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে, হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
বিএনএনিউজ/আরকেসি