36 C
আবহাওয়া
১:২৮ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চসিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ,চলছে গণনা

চসিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ,চলছে গণনা

চসিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ,চলছে গণনা

বিএনএ,চট্টগ্রাম: বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ও ইভিএম মেশিন ভাংচুরের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে।এখন চলছে গণনা।প্রথমবারের মতো ৭৩৫টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।

তবে, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ-সহিংসতা, প্রাণহানি, ভোটকেন্দ্র দখল নিতে প্রকাশ্যে গুলি, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভাঙচুর, বর্জনসহ বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ আনা হলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ভোটকে উৎসবমুখর বলা হয়েছে।

নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানান,ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে।ইভিএমে ভোট হওয়ায় ফলাফলের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার প্রয়োজন হবে না।কেন্দ্র থেকে ফলাফল এলে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়ামে রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে তা ঘোষণা করা হবে।

এদিকে, নগরীর কয়েকটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।পাহাড়তলীতে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এক ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে আরেক ভাই নিহত হয়েছে।আহত হয়েছে অন্তত ৬ জন।নিহত নিজাম উদ্দীন মুন্না ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবের আহমেদের সমর্থক।

অন্যদিকে, পাহাড়তলীর আমবাগানে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আলাউদ্দিন নামে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হন ৪ জন।বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাথরঘাটা এলাকার জেএম সেন স্কুল ও কলেজ ভোটকেন্দ্রের দখল নিয়ে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী মো. ইসমাইল বালী ও আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী পুলক খাস্তগীরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়। সে সময় ওই কেন্দ্রের একটি ইভিএম মেশিন ভাঙচুর করা হয়েছে।সংঘর্ষের কারণে এখানকার দুটি কেন্দ্রে ২ ঘন্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়।উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগে বিএনপি দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ ইসমাইল বালীকে আটক করে পুলিশ।

সংঘর্ষে নগরীর লালখান বাজারে ১০ জন আহত হয়েছে।লালখান বাজার চানমারি রোডের শহীদ নগর সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল পৌনে ৯টা থেকে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় হকিস্টিক, লাঠি নিয়ে হামলা চালানো হয়। কাচের বোতল, ইটপাটকেল ছোঁড়া হয় এলোপাতাড়ি। বিজিবি-পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ লাইন কেন্দ্রেও গোলোযোগের খবর পাওয়া গেছে। এখানে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত বেলালের সমর্থক শহীদুল ইসলাম শহীদ।

চট্টগ্রাম নগরীর মেয়র এবং ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ২২৬ জন। এর মধ্যে ৩৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন ১৬৯ জন। প্রার্থীর মৃত্যুসহ বিশেষ কারণে বাকি ২ ওয়ার্ডে ওই পদে নির্বাচন হচ্ছে না। সংরক্ষিত ১৪টি ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে নামেন ৫৭ জন।

মেয়র পদে মোট প্রার্থী ৭ জন হলেন- নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরী, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন, আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবুল মনজুর, মোমবাতি প্রতীকে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাতি প্রতীকে খোকন চৌধুরী, চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ এবং হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম।

নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ১৭ হাজার ৯৭৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭২৩ ও নারী ভোটার ৯ লাখ ৫২ হাজার ৩২৯ জন।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ