35 C
আবহাওয়া
৭:২৯ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ৭ জেলায় ৭ বিয়ে : অবশেষে ধরা

৭ জেলায় ৭ বিয়ে : অবশেষে ধরা

৭ জেলায় ৭ বিয়ে : অবশেষে ধরা

বিএনএ, কুমিল্লা : জেলায় জেলায় বিয়ে করতেন। বিয়ে করার পর নিজের পরিচয় গোপন করে বলতেন কাতার প্রবাসী। কাতারে যুবক নেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতেন। অবশেষে র‌্যাবের জালে ধরা পড়েছেন শাকিল মাহমুদ আজাদ নামের সে প্রতারক।

সাত জেলায় সাতটি বিয়ে করেন ২৯ বছর বয়সী শাকিল আজাদ। তার বাড়ি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায়।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলে মঙ্গলবার গভীর রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকা থেকে শাকিলকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্টও জব্দ করা হয়।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লা ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।

তিনি জানান, গ্রেফতার শাকিল সংশ্লিষ্ট জেলার স্ত্রীদের এলাকায় ‘কাতারী জামাই’ নামে পরিচিত। বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জের কচুবুনিয়া গ্রামের তার ৫ম স্ত্রী ইতিমনি ও প্রতারিতদের অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাবের টিম মঙ্গলবার গভীর রাতে তাকে কুমিল্লা নগরীর পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। এ পর্যন্ত দেশের সাতটি জেলায় তার ৭টি বিয়ের তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতারক শাকিল কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার অশ্বদিয়া গ্রামের আবু হানিফের ছেলে।

মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন আরও জানান, বিয়ে প্রতারক শাকিল মাহমুদ আজাদ (২৯) পরিচয় গোপন রেখে খুলনা, রাজশাহী, নীলফামারী, ফরিদপুর, বাগেরহাট, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লাসহ সাতটি জেলায় দরিদ্র পরিবারের সুন্দরী মেয়েদের টার্গেট করে ৭টি বিয়ে করেন। এসব এলাকায় তিনি নিজেকে কাতারের বড় মাপের ব্যবসায়ী পরিচয়ে বিভিন্নজনের সঙ্গে প্রথমে ঘনিষ্টতা গড়ে তোলেন এবং হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে দান-অনুদান প্রদান করে দানবীর ব্যক্তি সেজে এলাকার মানুষের মাঝে বিশ্বাস অর্জন করতেন। এসব এলাকায় তিনি ‘কাতারী জামাই’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। এ সুযোগে সংশ্লিষ্ট এলাকার বেকার যুবকদের কাতারে নিয়ে মোটা অংকের বেতনে চাকুরি দেওয়া ও লোকজনকে হজ্বে নেওয়ার প্রলোভনে ফেলে পাসপোর্ট তৈরি ও ভিসা দেওয়ার কথা বলে ধাপে ধাপে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন।

এছাড়া বিশ্বাস অর্জনের জন্য প্রতারক শাকিল বিদেশ গমনেচ্ছুদের ব্লাঙ্ক চেক দিতেন এবং মসজিদে গিয়ে পবিত্র কোরআন ছুঁয়ে শপথ করতেন। এভাবে একেক জেলায় এরুপ প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে একপর্যায়ে বিয়ে করা স্ত্রীকে ফেলে সংশ্লিষ্ট জেলা থেকে উধাও হয়ে যেতেন প্রতারক শাকিল ওরফে কাতারী জামাই। এদিকে শাকিল লাপাত্তা হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতারিত লোকজন তার স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতো এবং তার শ্বশুরপক্ষের লোকজন প্রতারিতদের মামলার শিকার হয়ে এলাকা ছেড়ে পালাতেন।

কমান্ডার সাকিব আরও জানান, বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ইতিপূর্বে আজাদের পাসপোর্টটি বাতিল করেছে। বর্তমানে তিনি ছদ্মবেশে চট্টগ্রামে একটি বেকারি খুলে ব্যবসা করছিলেন।

বিএনএনিউজ/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ