34 C
আবহাওয়া
১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনা

বিএনএ: আলভারেজের ২ ও মেসির ১ গোলে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে কাতার ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল আর্জেন্টিনা। ২০১৪ সালের পর আরও একবার বিশ্বকাপের ফাইনালে মেসির দল। আর গতবারের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়ার পথচলা এবার থেমে গেছে শেষ চারেই, শেষ হয়ে গেছে বিশ্বকাপে মদরিচ অধ্যায়ও।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচটি শুরু হয়। ২৪ মিনিটে এনজো ফার্নান্দেজ একটা শট নিয়েছিলেন বক্সের বাইরে থেকে। কিন্তু সেটা ঠেকাতে কষ্ট হয়নি ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক দমিনিক লিভাকোভিচের। দুই মিনিট পর মেসির কাছ থেকে দারুণভাবে বল কেড়ে নিয়ে পাস বাড়ান মাতেও কোভাচিচ। বল নিয়ে ছুটতে থাকা ক্রামারিচকে আটকাতে গিয়ে তাঁকে ফাউল করে ফ্রি-কিক দেন তালিয়াফিকো। তবে মদরিচের সাদামাটা ফ্রি-কিক কাজে লাগাতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া।

৩১ মিনিটে নাহুয়েল মলিনার চোখ এড়িয়ে বাঁ দিক থেকে আর্জেন্টিনার বক্সে ঢুকে পড়েন ইভান পেরিসিচ। তবে তাঁর শট রদ্রিগো দি পলের গায়ে লেগে চলে যায় মাঠের বাইরে। তবে সেটা রেফারির চোখ এড়িয়ে যাওয়ায় কর্নার পায়নি ক্রোয়েশিয়া।

ম্যাচটা জমে ওঠে এর পরপরই। রক্ষণভাগে ওতামেন্দির কাছ থেকে বল পেয়ে এনজো ফার্নান্দেজ লম্বা পাস বাড়িয়েছিলেন হুলিয়ান আলভারেজকে। ক্রোয়াট রক্ষণ ছিটকে দিয়ে ছুটে যাওয়া আলভারেজকে ঠেকাতে সামনে এগিয়ে এসে শরীর দিয়ে বাধা দেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। তাঁকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি।

ম্যাচের ৩৪ মিনিটে স্পট কিক থেকে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। এই বিশ্বকাপে এটা মেসির পঞ্চম গোল, সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে ১১টি গোল হলো আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের। কিংবদন্তি বাতিস্তুতাকে ছাড়িয়ে মেসিই এখন বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলদাতা।

হুলিয়ান আলভারেজ পেনাল্টি এনে দিয়েই দায়িত্ব শেষ মনে করেননি। মিনিট পাঁচেক পর মাঝমাঠে ফাউলে পড়ে গিয়ে মেসি ফ্রি-কিকের আবেদন করছেন, বল আলভারেজের পায়ে দেখেই হয়তো রেফারি খেলা চালিয়ে গেলেন। ড্রিবল করে ক্রোয়েশিয়ার তিন খেলোয়াড়কে পেরিয়ে গেলেন আলভারেজ। ওদিকে রদ্রিগো দি পল ও মলিনা ছুটে গিয়ে বিভ্রান্ত করে দিলেন ক্রোয়াট রক্ষণভাগকে।

ডি-বক্সে ঢুকে আলভারেজ ক্রোয়াট ডিফেন্ডার বোরনা সোসাকেও কাটালেন, তারপর লিভাকোভিচকে কাটিয়ে বল পাঠালেন জালে। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যারাডোনার মতো নয় হয়তো, তবে আলভারেজের গোলটা দেখে সবার আগে হয়তো দর্শকদের ওই গোলের কথাই মনে হয়েছে।

ম্যাচটা ওখানেই অর্ধেক শেষ হয়ে গিয়েছিল। যেটুকু বাকি ছিল, সেটা বিরতির পর মাঠে নেমে শেষ করে দিলেন আবার সেই মেসি-আলভারেজ জুটি। ৬৯ মিনিটের সেই গোল অবশ্য একেবারে নিখাদ মেসি-জাদু।

ডান পাশ দিয়ে ক্রোয়াট রক্ষণকে এলোমেলো করে দিয়ে বল নিয়ে ঢুকলেন, ইওস্কো গাভারদিওলকে কাটাতে বল নিয়ে গেলেন একেবারে সীমানার কাছাকাছি। সেখান থেকে কাট ব্যাক করে আলভারেজকে পাস বাড়ালেন। এই গোল নষ্ট করার লোক আলভারেজ নন। আলভারেজের আগের গোলটা যদি টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা গোল হয়, মেসির এই অ্যাসিস্ট সম্ভবত টুর্নামেন্টের সেরা অ্যাসিস্ট। ফলে আর্জেন্টিনার কাছে ০-৩ গোলে হেরে বিশ্বকাপের ফাইনালের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল ক্রোয়েশিয়ারা।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) কাতারের আল বায়াত স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স ও মরক্কো। সেখান থেকে বিজয়ী দলের সাথে ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় লুসাইল স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।

বিএনএ/এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ