বিএনএ, কক্সবাজার: কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারার মধ্যে পূর্বনির্ধারিত স্থান মুক্তিযোদ্ধা মাঠের বদলে কেন্দ্রীয় ঈদগাঁও ময়দানে ৩০ মিনিটের সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি। সোমবার (৩ জানুয়ারি) দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে দলটির কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সকাল সোয়া ১০টার দিকে সমাবেশ শুরু হয়। শেষ হয় পৌনে ১১টার দিকে।
শহরের ঈদগাহ মাঠে মাত্র আধা ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত এই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু।
ঘোষিত ১৪৪ ধারা বাস্তবায়নে ভোর ছয়টা থেকেই ওই এলাকায় পুলিশ ও র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। ফলে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সেখানে সমাবেশ বাস্তবায়ন করতে পারেনি বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ নেতাকর্মীরা ঈদগাহ ময়দানে জড়ো হয়। মুহূর্তের মধ্যে অনেক নেতাকর্মী সেখানে জড়ো হয়ে যায়। আধা ঘণ্টার মতো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করার পর নেতাকর্মীরা চলে যান।
সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, জনগণের প্রতি সরকারের আস্থা নেই। তাই বিএনপির সাংবিধানিক অধিকারও হরণ করছে তারা।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা হাকিম (এডিএম) মো. আবু সুফিয়ান সাংবাদিকদের বলেন, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে বিএনপি পূর্বনির্ধারিত স্থানে সমাবেশ করেনি। তবে তারা (বিএনপি) সেখান কিছুটা দূরে ঈদগাঁও ময়দানে সমাবেশের জন্য জড়ো হয়েছিল। খবর পেয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারাসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে পৌঁছান। পরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে প্রশাসন বিএনপি নেতাদের সমাবেশ সংক্ষিপ্ত করার কথা জানালে তারা সেখান থেকে সরে যান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, ১৪৪ ধারা অমান্য করে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিএনএ/ এমএফ
