29 C
আবহাওয়া
৯:৩০ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দুই হাজার বাইশে ঝিনাইদহে সড়কে প্রাণ হারাল ৭৯ জন

দুই হাজার বাইশে ঝিনাইদহে সড়কে প্রাণ হারাল ৭৯ জন


বিএনএ ঝিনাইদহঃ ২০২২ সালে ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন প্রায় পাঁচ শতাধিক লোক।দুর্ঘটনায় অনেকে চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছে। ২০২২ সালে বেশির ভাগ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে গ্রামীণ রাস্তায়। পুরানো বছর জুড়ে সড়কে ছিল অবৈধ যানবাহনের দাপট এবং এখনো তা অব্যাহত রয়েছে।

পুলিশ ও বিভিন্ন সরকারী দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় সুড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রানহানি ঘটেছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ২৪ জন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন।

এছাড়া কালীগঞ্জ উপজেলায় ১৯ জন, মহেশপুর উপজেলায় ১৪ জন, শৈলকুপায় ১৩ জন, হরিণাকুন্ডু উপজেলায় ৬ জন ও কোটচাঁদপুরে ৩ জন সড়কে প্রাণ হারান। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো ও অচেতনা এই দুর্ঘটনায় কারণ বলে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ও ঝিনাইদহ জেলা ট্রাফিক বিভাগ মনে করছে।

অভিযোগ রয়েছে, উচ্চ আদালতের নিষেধ থাকা সত্তেও ঝিনাইদহর সড়ক মহাসড়ক জুড়ে অবৈধ যান চলাচল বৃদ্ধি পচ্ছে। অবস্থা এমন এক পর্যায়ে পৌছেছে যে, আইন প্রয়োগ ও জরিমানা করেও অবৈধ যানবাহনের দাপট কমানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে জেলার বিভিন্ন গ্রামীন সড়কে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে।

এদিকে ঝিনাইদহ শহর দিনকে দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। প্রধান প্রধান সড়ক ছাড়াও পৌরসভার অলিগলি রাস্তায় ইজিবাইকের দাপট বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ফুটপাত দিয়ে চলাও মুশকিল হয়ে পড়েছে। কোন ভাবেই ইজিবাইক নিয়ন্ত্রন করতে পারছেনা ট্রাফিট পুলিশ। বরং প্রতিদিন নতুন নতুন ইজিবাইক রাস্তায় নামানো হচ্ছে। দিন ও রাতে দুই শিফটে ইজিবাইক পরিচালনার প্রস্তাব ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে দেয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

ঝিনাইদহ ট্রাফিক পুলিশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, ইজিবাইক এখন ঝিনাইদহ শহরের প্রধান সমস্যা ও শহরবাসির গলার কাঁটা। এটি নিয়ন্ত্রণ করা পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সম্মিলিত উদ্যোগই পারে এই সমস্যার সমাধান করতে।

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে ঝিনাইদহ হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, মহাসড়কগুলো অবৈধ যানজট মুক্ত করতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিদিন অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে, মামলা ও জরিমানা করা হচ্ছে। চালকদের সচেতনতা ও দুর্ঘটনা এড়াতে সেমিনার এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সচেতন না হলে দুর্ঘটনা হ্রাস করা সম্ভব হবে না।

বিএনএ/ আতিক, ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ