20.7 C
আবহাওয়া
৭:৩১ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-২২

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-২২

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-৩৪

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কতিপয় উগ্রবাদী সেনা সদস্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে।হত্যাকারিরা ক্ষমতাসীন হয়ে ওই বছর ২৬ সেপ্টেম্বর ‘ ইনডেমনিটি ‘ অডিন্যান্স জারি করে। যা পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে সেটিকে আইনে পরিণত করেন। হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে  ক্ষমতাসীন হয় আওয়ামী লীগ।

বাতিল করে ‘ইনডেমনিটি অ্যাক্ট’। এরপর ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকা জেলা দায়রা জজ আদালত ১৮ আসামির মধ্যে ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। আসামিরা আপিল করেন। ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টে বিভক্ত রায় প্রকাশ হয়। পরে ১২ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকে।

কীভাবে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা মামলার বিচার হয়েছিল তা নতুন প্রজন্মের অনেকের কাছে অজানা! বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি(বিএনএ) বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছে।

আজ প্রকাশিত হল পর্ব-২২

আর্মির লোক বলিল, “তুমি হাঁটিয়া নীচে যাইতে পারবা?” আমি বলি, পারব। সিঁড়ি দিয়া নীচে যাইতে দেখে সিঁড়িতে বঙ্গবন্ধুর লাশ পড়িয়া আছে। নীচে বারান্দা দিয়া গেটের দিকে নিবার সময় শেখ কামালের লাশ পড়িয়া থাকিতে দেখে। তারপর তাহাকে লাইনে নিয়া বসায়। সেখানেও একজন সিকিউরিটির লোকের লাশ পড়িয়া থাকিতে দেখে। লাইনে ডি.এম.সি. নুরুল ইসলাম, মহিতুল ইসলাম, রমা, শেখ রাসেলকে দেখে। শেখ রাসেল মহিতুল ইসলামের পাশে দাঁড়ানো ছিল। একটু পরেই একটা ট্যাঙ্ক এবং একটা জীপ আসে।

ট্যাঙ্ক হইতে আর্মিরা নামিয়া অন্য আর্মিদের সাথে ইংরেজী ও বাংলায় কি যেন কথাবার্তা বলে। তখন শেখ রাসেলকে লাইনে দেখিয়া একজন আর্মি অফিসার ইশারা করিলে অন্য একজন শেখ রাসেলকে দোতলায় নিয়া যায়। কিছুক্ষণ পরেই দোতলা হইতে গুলির শব্দ ও চিৎকার শোনে। তারপর ট্যাঙ্কের পিছনে আসা জীপে করিয়া তাহাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া যায়। সেখানে যাবার পর শেখ সেলিম ও শেখ মারুফের সাথে তাহার দেখা হয়। তাহাদেরকে বঙ্গবন্ধু বাড়ীর সবাইকে মারিয়া ফেলার খবর দেয়। তিনি এক মাস তিন দিন হাসপাতালে ছিলেন।

প্রসিকিউশনের ৪নং সাক্ষী হাবিলদার কুদ্দুস বলেন, কুমিল্লা ১ ফিল্ড আর্টিলারি হইতে ঢাকায় গণভবনে এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনে নিরাপত্তা ডিউটির জন্য ক্যাপ্টেন আবুল বাশারের নেতৃত্বে তাহাদের ১০৫ জনের একটি কোম্পানী ঢাকায় বদলী করে। ১৯৭৫ সনের প্রথম দিকে তাহাদের ১ ফিল্ড আর্টিলারির টু আইস মেজর ডালিম চাকুরীচ্যুত হন। ক্যাপ্টেন বজলুল হুদাও তাহাদের ১ ফিল্ড আর্টিলারি অফিসার ছিলেন। পরে ঢাকায় বদলী হন। তাহারা ২৫ জন ধানমন্ডি ৩২নং রোডস্থ বঙ্গবন্ধুর ৬৭৭নং বাসভবনে দুই দলে পালাক্রমে নিরাপত্তা ডিউটি করিত। ডিউটির পরে তাহারা ঐ ধানমন্ডি ৩১নং রোডস্থ একটি বাড়ীতে অবস্থান করিত।

তিনি একটি দলের গার্ড কমান্ডার ছিলেন। ১৯৭৫ সনের ১৪ই আগস্ট ভোর ৬টায় তাহার দল ডিউটি শেষ করিয়া পরবর্তী দলের গার্ড কমান্ডার হাবিলদার গণিকে ডিউটি বুঝাইয়া দিয়া ৩১নং রোডে চলিয়া যায়। ১৫ই আগস্ট ভোর পৌনে ৫টায় ৩১নং রোডস্থ বাড়ী হইতে তাহার গার্ড দলকে লইয়া বাহির হইলে গেটের সামনে তাহাদের রেজিমেন্টের সুবেদার মেজর আব্দুল ওহাব জোয়ারদারকে জীপ হইতে নামিতে দেখে। তাহাদের মাসিক বেতন আনিয়াছে বলিয়া তিনি জানান। অত:পর বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে গিয়া বিউগলের সুরে সুরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করিতে থাকে।

তথ্যসুত্র: বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়, গ্রন্থনা ও সম্পাদনা- রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী।(চলবে)

আরও পড়ুন :

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-২১

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-২০

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-১৯

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-১৮

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-১৭

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-১৬

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-১৫
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-১৪

গ্রন্থনা: ইয়াসীন হীরা, সম্পাদনায়: এইচ চৌধুরী

Loading


শিরোনাম বিএনএ