30 C
আবহাওয়া
৪:৩২ অপরাহ্ণ - মার্চ ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-১৫

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-১৫

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-৩৪

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কতিপয় উগ্রবাদী সেনা সদস্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে।হত্যাকারিরা ক্ষমতাসীন হয়ে ওই বছর ২৬ সেপ্টেম্বর ‘ ইনডেমনিটি ‘ অডিন্যান্স জারি করে। যা পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে সেটিকে আইনে পরিণত করেন। হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে  ক্ষমতাসীন হয় আওয়ামী লীগ।

বাতিল করে ‘ইনডেমনিটি অ্যাক্ট’। এরপর ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকা জেলা দায়রা জজ আদালত ১৮ আসামির মধ্যে ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। আসামিরা আপিল করেন। ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টে বিভক্ত রায় প্রকাশ হয়। পরে ১২ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকে।

কীভাবে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা মামলার বিচার হয়েছিল তা নতুন প্রজন্মের অনেকের কাছে অজানা! বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি(বিএনএ) বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছে।

আজ প্রকাশিত হল পর্ব-১৫

সাক্ষ্য, আলোচনা ও সিদ্ধান্ত
১নং বিচার্য বিষয় :
ঢাকার ধানমন্ডি একটি পুরাতন অভিজাত আবাসিক এলাকা। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই ধানমন্ডির ৩২নং রোডস্থ নিজ ৬৭৭নং বাড়ীতে সপরিবারে বসবাস করিতেন। ৩ তলায় ২ রুম বিশিষ্ট বাড়ীটিকে আড়াই তলা বলা যায়। দক্ষিণ দিকে বাড়ীর প্রধান গেইট। বাড়ীটির পূর্ব-পশ্চিম ও উত্তরে ভিন্ন ভিন্ন লোকের আবাসিক বাড়ী। দক্ষিণে রাস্তা। এই রাস্তা অনুমান ২০০/২৫০ গজ পূর্বদিক গিয়া উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত মিরপুর রোডে এবং পশ্চিমে আবাসিক এলাকার অন্য রাস্তার সহিত মিলিয়াছে। রাস্তার ১৫/২০ ফুট দক্ষিণে বঙ্গবন্ধুর বাড়ী গার্ড-শেড। গার্ড-শেডের দক্ষিণে ধানমন্ডি লেক যাহা পূর্বে মিরপুর রোড পর্যন্ত বিস্তৃত। লেকের পূর্ব-দক্ষিণ কোণায় খেলার মাঠ/ নার্সারী যাহা মিরপুর রোডের পশ্চিমে অবস্থিত। বঙ্গবন্ধু এবং তাহার পরিবারবর্গ বাড়ীর দোতলায় ও তিন তলার অংশে থাকিতেন। নীচ তলা পি. এ. কাম রিসিপশন রুম সহ অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হইত। এই বাড়ীতেই বঙ্গবন্ধু এবং তাহার পরিবারবর্গ এবং অন্যান্যদের হত্যা করা হইয়াছে বলিয়া প্রসিকিউশন দাবী করে। ৬১ নং সাক্ষ্য তদন্তকারী অফিসার ঘটনাস্থলের মানচিত্র একজিবিট-১৩ ও সূচীপত্র একজিবিট-১৪ প্রমাণ করেন।

মামলাটি তদন্তকালে তদন্তকারী অফিসার আবদুল কাহার আকন্দ ঘটনা সম্পর্কে বিভিন্ন শ্রেণীর মোট ৪৫০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া অভিযোগপত্রে/চার্জশীটে ৭২ জনকে সাক্ষী মানিয়াছে। প্রসিকিউশন ৬১ জনকে আদালতে হাজির করান। প্রসিকিউশনের ১নং সাক্ষী এজাহারকারী আ.ফ.ম. মুহিতুল ইসলাম ২-১০-৯৬ তারিখে তাহার রুজুকৃত এজাহার একজিবিট-১ এবং ইহাতে তাহার স্বাক্ষর একজিবিট ১/১ প্রমাণ করিয়া এজাহারের সহিত সংগতিপূর্ণ সাক্ষ্য প্রদান করেন। ৫৬নং সাক্ষী পুলিশ ইন্সপেক্টর শফিকউল্লাহ ২-১০-৯৬ তারিখে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে ঐদিন মুহিতুল ইসলামের লিখিত এজাহারের ভিত্তিতে এজাহার ফরম পূরণ করিয়া ধানমন্ডি থানার ১০(১০)৯৬ নম্বর মামলা রুজু করে। তিনি ঐ এজাহার ফরম একজিবিট -৮ এবং ইহাতে তাহার স্বাক্ষর একজিবিট-৮/১ প্রমাণ করেন।

তথ্যসুত্র: বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়, গ্রন্থনা ও সম্পাদনা- রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী।(চলবে)

আরও পড়ুন :
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-১৪

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-১৩

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-১২

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-১১

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-১০

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-৯

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-৮

গ্রন্থনা: ইয়াসীন হীরা, সম্পাদনায়: এইচ চৌধুরী

Loading


শিরোনাম বিএনএ