34 C
আবহাওয়া
২:৪৩ অপরাহ্ণ - মে ২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ইয়াসের প্রভাবে বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে হাঁটুপানি

ইয়াসের প্রভাবে বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে হাঁটুপানি

ইয়াসের প্রভাবে বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে হাঁটুপানি

বিএনএ,চট্টগ্রাম: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কর্ণফুলী নদীর পানি বেড়ে গিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে হাঁটু পানি জমে গেছে। সমুদ্রের উপকূলীয় এলাকায় জোয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে পূর্ণিমারও প্রভাব রয়েছে।

বুধবার (২৬ মে) দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের ৫ নম্বর ইয়ার্ডের পার্শ্ববর্তী মহেশখাল থেকে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে। এতে বন্দরের চিটাগাং কন্টেইনার টার্মিনাল ( সিসিটি), নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল ( এনসিটি ), আইসিডি ইউনিট, ওভার ফ্লো ইয়ার্ডসহ ৪ নম্বর গেটের সড়কে পানি উঠেছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে নিচু ইয়ার্ডে পানি উঠলেও ঘণ্টাখানেকের মধ্যে এসব পানি নেমে যাবে। এতে আতঙ্কের কিছু নেই।

তিনি বলেন, জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় বন্দরের এনসিটি, সিটিটি রেফার ইউনিট, আইসিডি ইউনিট প্লাবিত হয়। জোয়ারের প্রায় ৭ থেকে ৮ ইঞ্চি উচ্চতায় পানি প্রবেশ করে বন্দর ইয়ার্ডে। তবে এতে কন্টেইনার ভর্তি পণ্য নষ্ট হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।

জানা যায়, পূর্ণিমায় ভরা কোটালের জন্য সমুদ্রে ঢেউয়ের যতটা বাড়ে তার চেয়েও বাড়ে পানির স্তর। জোয়ারের প্রভাবে ঢেউয়ের উচ্চতা বেড়ে যায়। তার জেরে প্লাবিত হয়েছে বন্দর টার্মিনালের নিচু এলাকা।

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের মূল কেন্দ্রটির ওডিশার উপকূল অতিক্রম করছে। পুরো ঝড় ওডিশা উপকূল অতিক্রম করতে বিকেল গড়িয়ে যেতে পারে। এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৮৪ কিলোমিটারের মধ্যে গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত ও নদী বন্দরে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে। সেই সঙ্গে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগ অতিক্রমকালে চট্টগ্রামসহ বেশ কয়েকটি জেলা ও অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার (২৫ মে) ৫টি কমিটি গঠন করেছে। এরমধ্যে দুটি কমিটি (সমুদ্রে) জাহাজ নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে, তিনটি কমিটি (স্থলে) বন্দরের ইয়াস মোকাবিলার কাজ করছে। এছাড়া খোলা হয়েছে একটি কন্ট্রোল রুম (০৩১-৭২৬৯১৬)।

প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রণীত ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেতের ভিত্তিতে চার ধরনের সতর্কতা জারি করে বন্দর। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সংকেত জারি করলে বন্দর প্রথম পর্যায়ের সতর্কতা বা ‘অ্যালার্ট-১’ জারি করে। ৪ নম্বর সংকেতের জন্য বন্দর অ্যালার্ট-২ জারি করে। এ ছাড়া বিপদসংকেত ৫, ৬ ও ৭ নম্বরের জন্য ‘অ্যালার্ট-৩’ জারি করা হয়। মহাবিপদসংকেত ৮, ৯ ও ১০ হলে বন্দরেও সর্বোচ্চ সতর্কতা বা ‘অ্যালার্ট-৪’ জারি করা হয়। তখন বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। জেটি, যন্ত্রপাতি ও পণ্যের সুরক্ষার জন্য ১৯৯২ সাল থেকে এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বিএনএনিউজ/মনির

Loading


শিরোনাম বিএনএ