39 C
আবহাওয়া
৫:৪৪ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ৩০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সিনহা হত্যা মামলায় ষষ্ঠ ধাপের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

সিনহা হত্যা মামলায় ষষ্ঠ ধাপের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

সিনহা হত্যা মামলায় ষষ্ঠ ধাপের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

বিএনএ কক্সবাজার:  আলোচিত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের নির্ধারিত ষষ্ঠ ধাপের প্রথম দিনের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ৩৬তম সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণের মধ্যদিয়ে বিচারিক কাজ শুরু করা হয়। ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করানো হয়েছে। এই সাক্ষ্যহণ চলবে আগামি ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত।

সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম। তিনি বলেন, এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার ১০ জন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করা হবে। এর আগে, এক থেকে পঞ্চম ধাপে এসে ছয় সেনা কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্যসহ ৩৫ জন তাদের জবানবন্দি দেন। ১৫ আসামির আইনজীবীরা তাদের জেরাও করেছেন বলে জানান ফরিদুল আলম।

তিনি আরও বলেন, মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করার ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের প্রচেষ্টা রয়েছে। তবে আসামিপক্ষ সবসময় তাতে ব্যাঘাতের চেষ্টা চালাচ্ছেন। মামলার অন্যতম আসামি বরখাস্ত ওসি প্রদীপের আইনজীবী মামলার দ্বিতীয় সাক্ষীকে রিকলের আবেদন করেছেন। এটি মামলার গতিশীল কার্যক্রমকে স্থবির করার পাঁয়তারা বলে উল্লেখ করেন পাবলিক প্রসিকিউটর।

উল্লেখ্য, গত বছর ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে । এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফে, একটি রামু থানায়। ঘটনার পাঁচ দিন পর অর্থাৎ ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র‌্যাব।

২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‌্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।

আসামিদের মধ্যে পুলিশের ৯ জন সদস্য রয়েছেন। তারা হলেন- বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া ও কনস্টেবল সাগর দেব নাথ।

অপর আসামিরা হলেন- আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও মো. আব্দুল্লাহ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশের করা মামলার সাক্ষী নুরুল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

গ্রেফতার হওয়া আসামিদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ১২ জন । তবে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। এর আগে আসামিদের তিন দফায় ১২-১৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

Loading


শিরোনাম বিএনএ