35 C
আবহাওয়া
১২:০৪ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ১৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বন্দর থেকে দ্রুত কন্টেইনার খালাস চায় বিজিএমইএ

বন্দর থেকে দ্রুত কন্টেইনার খালাস চায় বিজিএমইএ

বন্দর থেকে দ্রুত কন্টেইনার খালাস চায় বিজিএমইএ

বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস কার্যক্রম দ্রুততরকরণ এবং শিল্পকে অতিরিক্ত খরচের কবল থেকে রক্ষা করতে বেসরকারি আইসিডির পরিবর্তে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরাসরি খালাসের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে (চবক) অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল এম. শাহজাহানের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এই আনুরোধ জানান।

বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, করোনার প্রভাবে ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমাদের রপ্তানি তার আগের বছরের তুলনায় ৬ বিলিয়ন ডলার কমে গেছে। সরকারের সহযোগিতা ও চট্টগ্রাম বন্দরের নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতার ফলেই গতবছর এ খাত কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তবে পোশাক রপ্তানিতে যে সমস্যা তা সমাধানে বায়িং হাউজ ও শিপিং এজেন্টগুলোর সাথে আলোচনা চলছে। বায়াররা ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের পাশাপাশি ৪০ ফুট কন্টেইনারেও পণ্য রপ্তানিতে আগ্রহ হয় সেটা নিয়েও আলোচনা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা কাঁচামালবাহী কন্টেইনার বন্দরের ইয়ার্ড থেকে খালাস করতে পোশাক মালিকদের পূর্বে সময় লাগতো ২ দিন। বর্তমানে বেসরকারি আইসিডিগুলো থেকে সেই কন্টেইনার খালাস করতে সময় লাগছে ৬ থেকে ৭ দিন। পন্য খালাসের বিলম্বের কারণে পোশাক উদ্যোক্তাদেরকে আর্থিক মাশুল দিতে হচ্ছে। আবার বেসরকারি আইসিডিতে প্রতি কন্টেইনারের জন্য যে পরিমান অর্থ আদায় করা হচ্ছে, তা বন্দরের তুলনায় কয়েকগুন বেশি। এতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বাড়তি ব্যয় বহন করতে হচ্ছে।

বন্দর চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল এম. শাহজাহান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের কাজ হলো ২৪ ঘণ্টা সেবা দেওয়া। সেটি আমরা করোনার সময়ও দিয়ে আসছি। আমাদের ধ্যানে-মনে থাকে স্টেকহোল্ডারদের সেবা দেওয়া। বৈশ্বিক সংকটে রপ্তানি বাণিজ্য যখন বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল তখন আমরা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে এর সমাধান বের করার চেষ্টা করেছি, চিঠি দিয়েছি। এর ফলে সুফল মিলেছে। এখন রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়ে আসছে। রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পাদন করছে। সভায় তিনি বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এলক্ষ্যে বিজিএমইএসহ সকল ষ্টেক-হোল্ডারদের সহযোগিতা কামনা করেন।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএ’র ১ম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সাবেক ১ম সহসভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী, মঈনউদ্দিন আহমেদ মিন্টু, সাবেক পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, সদস্য (অর্থ) মো. কামরুল আমিন, সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর এম নিয়ামুল হাসান, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পরিচালক (প্রশাসন) মো. মমিনুর রশিদ, পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্ণেল মোস্তফা আরিফ-উর রহমান খান, প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস রেজা, সচিব ওমর ফারুক, প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আমিনুল ইসলাম ও টার্মিনাল ম্যানেজার মো. কুদরত ই-খুদা মিল্লাত।

বিএনএনিউজ/মনির

Loading


শিরোনাম বিএনএ