30 C
আবহাওয়া
৫:৫০ অপরাহ্ণ - মার্চ ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ঈদের জামাত নিয়ে যে নির্দেশনা দিলো ধর্ম মন্ত্রণালয়

ঈদের জামাত নিয়ে যে নির্দেশনা দিলো ধর্ম মন্ত্রণালয়

করোনাকালে ঈদ জামাত নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা

বিএনএ, ঢাকা : করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনায় ঈদুল আযহা নামাজের জামাত আদায়ের বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

কোরবানির ঈদের জামাত মসজিদে না ঈদগাহে আয়োজন করা হবে সেটি স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি সমন্বয় করে নির্ধারণ করবেন।

ঈদের জামাত আদায়ে ১২টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. মসজিদে ঈদের নামাজ আয়োজনের ক্ষেত্রে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।

২. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে মসজিদ/ঈদগাহে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৩. করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধ নিশ্চিতে মসজিদ/ঈদগাহে ওজুর স্থানে সাবান, পানি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

৪. মসজিদ/ঈদগাহ মাঠের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান ও পানি রাখতে হবে।

৫. ঈদের নামাজের জামাতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৬. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।

৭. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করা হলো।

৮. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

৯. করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধ নিশ্চিতে ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে।

১০. করোনা মহামারির এ বৈশ্বিক মহাবিপদ হতে রক্ষা পেতে বেশি বেশি তওবা, আস্তাগফিরুল্লাহ ও কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে এবং আমাদের কৃত অন্যায়-অপরাধের জন্য ঈদের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হবে।

১১. খতিব, ইমাম, মসজিদ/ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক নির্দেশনাগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

১২. এসব নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

বিএনএনিউজ/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ