29 C
আবহাওয়া
৬:০৪ পূর্বাহ্ণ - মে ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-১২০ (বরিশাল-২)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-১২০ (বরিশাল-২)


বিএনএ, ঢাকা: বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে।  এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৫ম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসনভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম।  আজ থাকছে বরিশাল-২ আসনের হালচাল।

YouTube player

বরিশাল- ২ আসন 

বরিশাল-২ সংসদীয় আসনটি সন্ধ্যা নদী ঘেরা উজিরপুর ও বানারীপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ১২০তম আসন।

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন:  নির্বাচনে ওয়ার্কাস পার্টির রাশেদ খান মেনন বিজয়ী হন

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই আসনে ভোটার ছিলেন  ২ লাখ ৪০ হাজার ২ শত ৪৯ জন।  ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৯ হাজার ৯শত ৮১ জন।  নির্বাচনে ওয়ার্কাস পার্টির রাশেদ খান মেনন বিজয়ী হন।  হাতুড়ি প্রতীকে তিনি পান ৩৬ হাজার ৩ শত ১১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের হরনাথ বাইন।  নৌকা প্রতীকে  তিনি পান ২৭  হাজার ৬ শত ৯৭ ভোট।

৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: বিএনপির সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে। নির্বাচনে বিএনপি, ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। ভোটারবিহীন এই নির্বাচনে বিএনপির সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন: নির্বাচনে জাতীয় পার্টির গোলাম ফারুক অভি বিজয়ী হন

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৯ শত ৮ জন।  ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ২০ হাজার ৩৫ জন।  নির্বাচনে জাতীয় পার্টির গোলাম ফারুক অভি বিজয়ী হন।  লাঙ্গল প্রতীকে তিনি পান ৩৩ হাজার ৫ শত ৫৬ ভোট।  তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। ধানের শীষ  প্রতীকে  তিনি পান  ৩১ হাজার ৮ শত ৪৪ ভোট।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বিজয়ী হন

২০০১ সালের ১ অক্টোবর  অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।  নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪ শত ২০ জন।  ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪ শত ৩৮ জন। নির্বাচনে বিএনপির সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বিজয়ী হন। ধানের শীষ  প্রতীকে তিনি পান ৬০ হাজার ১ শত ৬৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ।  নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৪৪ হাজার ৯ শত ১৯ ভোট।

নবম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মনিরুল ইসলাম বিজয়ী হন

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।  নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ২৭ হাজার ৬ শত ৩০ জন।  ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ৫ শত ২৯ জন।  নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনিরুল ইসলাম বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৫ শত ১১ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির সরদার সরফুদ্দিন আহমেদ।  ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৮৯ হাজার ৩ শত ৩০ ভোট।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন:নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস বিজয়ী হন 

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।  নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৫৮ হাজার ৮ শত ২৪ জন।  ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪ শত ৩১ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস বিজয়ী হন।  নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৩৪  হাজার ৮ শত ৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টি নাসির উদ্দিন নাসিম হাওলাদার ।  লাঙ্গল  প্রতীকে তিনি পান ৫ হাজার ৮৮ ভোট।  তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শাহে আলম বিজয়ী হন

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।  নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ২ হাজার ৬ শত ৪৪ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪ শত ৯৬ জন।

নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন।  নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের শাহে আলম, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির সরদার সরফুদ্দিন আহমেদ, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মাসুদ পারভেজ, হাতুড়ি প্রতীকে ওয়াকার্স পাটির জহুরুল ইসলাম, আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সাহেব আলী, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন ও ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র  প্রার্থী আনিচুজ্জামান প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শাহে আলম বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ২ লাখ ১২ হাজার ৩ শত ৪৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির সরদার সরফুদ্দিন আহমেদ।  ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান মাত্র ১১ হাজার ১ শত ৩৭ ভোট।  কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পঞ্চম সংসদে ওয়ার্কাস পাটি, সপ্তম সংসদে জাতীয় পার্টি, ষষ্ঠ ও অষ্টম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি এবং নবম, দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়।

দৈবচয়ন পদ্ধতিতে জরিপ 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর বরিশাল-২ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, বরিশাল-২ সংসদীয় আসনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৪৫.৭৮% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৫.১৮%, বিএনপি ১২.২৪%, জাতীয় পার্টি ১৮.০৭%, জামায়াতে ইসলামী ৯.৬২%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য  ৩৪.৮৯%  ভোট পায়।

১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৬৯.৪২%। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২১.১৬%, বিএনপি ২৬.৫৩%, জাতীয় পাটি ২৭.৯৬%, জামায়াতে ইসলামী ৪.৩৯%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১৯.৯৬% ভোট পায়।

২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৬৪.৮২% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৮.৩৫%, ৪দলীয় জোট ৩৭.৯৭%, জাতীয় পার্টি ৯.১৫%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ২৪.৫৩%  ভোট পায়।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮৬.৬২% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট ৫১.১৯%, ৪দলীয় জোট ৪৫.০৩%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৩.৭৮%  ভোট পায়।

বরিশাল-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শাহে আলম। গত ৫ বছরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার দুরত্ব বেড়েছে। শুধু তাই নয়, আঞ্চলিকতার প্রশ্নে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ বানারীপাড়া ও উজিরপুরে দুই ধারায় বিভক্ত।  সংসদ সদস্য শাহে আলম তালুকদারের বিরুদ্ধে বানারীপাড়ায় ১২ পরিবারের জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। ওই পরিবারগুলো বরিশাল প্রেসক্লাবে, ২০২২ সালের ২৫শে জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনও করে এর প্রতিকার চেয়ে। একই বছর বানারীপাড়ায় ১৯৭১ সালে প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক ড. জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতার স্বজনদের জমি দখলের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় ২০২২ সালের ১৭ই জানুয়ারি এমপি শাহে আলমকে লিগ্যাল নোটিশও দেওয়া হয়।

এবার দলের একটি বড় অংশ তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে মাঠে সক্রিয়। এই আসনে মনোনয়ন চাইবেন তিনবারের সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনি। উন্নয়ন ইস্যুতে মনির এলাকায় বেশ সুনাম থাকলেও ২০০৮ সালের পর এমপি থাকাকালীন তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি, জমি দখলসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

২০১৪ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস। তিনি আবার এ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন।

আওয়ামী লীগ থেকে আরও মনোনয়ন চাইবেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার মীরা, আওয়ামী লীগ নেতা ফাইয়াজুল হক রাজু, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনিসুর রহমান, ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা ক্যাপ্টেন (অব.) এম মোয়াজ্জেম হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ সুখেন্দু শেখর বৈদ্য।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিতে দুই হেভিওয়েট নেতাসহ চারজন মনোনয়ন চাইবেন। এরা হলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু, বিএনপির নেতা এস এম বক্কর।

চরমোনাই পীরের দল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে থেকে মনোনয়ন চাইবেন মাওলানা নেছার উদ্দিন।

তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, বানারীপাড়া এবং উজিরপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত বরিশাল-২ আসনটি কারো একক দুর্গ নয়। আওয়ামী লীগ, বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা সমানে সমানে। দুই দলেই রয়েছে অন্তদলীয় কোন্দল।  বর্তমানে এই আসনের সংসদ সদস্য ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহে আলম তালুকদার। ১৯৯১ সাল থেকেই এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তিনি।  দীর্ঘ ২৭ বছর অপেক্ষার পর একাদশ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য হন শাহে আলম।

শেরেবাংলার জন্মভূমি বরিশালের এ জনপদ এখনো অনেকটাই পিছিয়ে।  আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর এলাকায় বেশ কিছু উন্নয়ন কর্মকান্ড হয়েছে।  শাহে আলম উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন।  তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সংসদ সদস্য হওয়ার পর আওয়ামী লীগের ভিতরে ‘শাহে আলম লীগ, সৃষ্টি করেছেন তিনি।  ফলে আওয়ামী লীগ বনাম শাহে আলম লীগের মধ্যে বিরোধ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে।  যা নির্বাচনে সরাসরি প্রভাব ফেলবে।

বিএনপিতেও কোন্দল রয়েছে। তবে তা আওয়ামী লীগের মতো প্রকট নয়। বিএনপির ভরসা তাদের রয়েছে হেভিওয়েট প্রার্থী এবং মাঠ পর্যায়ের ভোটার। সেদিক থেকে বিএনপি এই আসনটি ফিরে পেতে মরিয়া। আওয়ামী লীগ চায় দখল বজায় রাখতে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন ক্লিন ইমেজ প্রার্থী ও দলীয় কোন্দল নিরসন।  দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ১২০তম বরিশাল- ২ সংসদীয় আসনটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে হাড্ডাহাডি লড়াই হবে।

বিএনএ/ শিরীন সুলতানা, রেহেনা ইয়াসমিন, ওজি, ওয়াইএইচ

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ