39 C
আবহাওয়া
৪:০০ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মিতু হত্যাকাণ্ড : বা‌দিই আসা‌মি !

মিতু হত্যাকাণ্ড : বা‌দিই আসা‌মি !

সাবেক এএসপি বাবুল আকতার গ্রেপ্তার

বিএনএ, চট্টগ্রাম:  স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে! এর আগে তাকে দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করে মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।বাবুল আক্তার নিজেই স্ত্রীর হত্যা মামলার বাদি।

জানা যায়, মঙ্গলবার(১১মে) রাতে মামলার বাদি বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখায়(!) চট্টগ্রাম পিবিআই। আগামীকাল বুধবার তাকে আদালতে তোলা হতে পারে বলে জানিয়েছে তদন্ত সংস্থাটি।মামলার তদন্ত কর্মকর্তার ডাকে হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছরের মাথায় মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলীতে অবস্থিত পিবিআই মেট্রো অঞ্চলের কার্যালয়ে উপস্থিত হন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার।

বুধবার মিতু হত্যা মামলা নতুন মোড় নিতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র আভাস দিয়েছে। মিতু হত্যা মামলার বাদি যদি হত্যায় জড়িত সন্দেহে আটক বা গ্রেপ্তার হন সে ক্ষেত্রে পুরাতন মামলা চার্জশিট জমা দিয়ে   আদালতের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করা হতে পারে। সে সাথে শ্বশুর মোশাররফ হোসেন বাদি হয়ে সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামী করে মাহমুদা খানম মিতু হত্যার নতুন মামলার দায়ের করার সম্ভাবনা রয়েছে।

উল্লেখ, ২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। পরে বাবুল আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। বাবুল তখন চট্টগ্রাম থেকে বদলি হয়ে ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে এসপি (পুলিশ সুপার) পদে সংযুক্ত ছিলেন। মাহমুদা হত্যাকাণ্ডের মোড় ঘুরতে শুরু করে ২০১৬ সালের ২৪ জুন ডিবি কার্যালয়ে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের পর। এ সময় হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বাবুলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হলো।

স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যা মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছিলেন সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার।২০১৭সালের ১১জুন রাতে চট্টগ্রাম শহরের লালদীঘি এলাকায় নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভূতপূর্ব কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেছিলেন। তবে, বাবুল আক্তার নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও ‘মেয়ের হত্যাকারী’ হিসেবে তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে ছিলেন তাঁর শ্বশুর মোশাররফ হোসেন।

আলোচিত এই হত্যা মামলা শুরু থেকে চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও চার্জশিট দিতে না পারায় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মামলাটির তদন্ত ভার ডিবি থেকে পিবিআইকে দেন আদালত।

মাহমুদা হত্যাকাণ্ডের তিন সপ্তাহ পর মো. ওয়াসিম ও মো. আনোয়ার নামের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জানা যায়, বাবুল আক্তার পুলিশের চাকরি থেকে অব্যাহতি পাবার পর প্রথমে রাজধানীর আদ–দ্বীন হাসপাতালে যোগ দেন। সম্প্রতি তিনি চীন থেকে পানি পরিশোধনকারী যন্ত্র আমদানী করে বিক্রির ব্যবসা শুরু করছিলেন।

বিএনএনিউজ২৪/এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ