28 C
আবহাওয়া
১২:৪৮ অপরাহ্ণ - মার্চ ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-১০

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-১০

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-৩৪

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কতিপয় উগ্রবাদী সেনা সদস্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে।হত্যাকারিরা ক্ষমতাসীন হয়ে ওই বছর ২৬ সেপ্টেম্বর ‘ ইনডেমনিটি ‘ অডিন্যান্স জারি করে। যা পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে সেটিকে আইনে পরিণত করেন। হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে  ক্ষমতাসীন হয় আওয়ামী লীগ।

বাতিল করে ‘ইনডেমনিটি অ্যাক্ট’। এরপর ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকা জেলা দায়রা জজ আদালত ১৮ আসামির মধ্যে ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। আসামিরা আপিল করেন। ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টে বিভক্ত রায় প্রকাশ হয়। পরে ১২ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকে।

কীভাবে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা মামলার বিচার হয়েছিল তা নতুন প্রজন্মের অনেকের কাছে অজানা! বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি(বিএনএ) বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছে।

আজ প্রকাশিত হল পর্ব-১০

(২) আসামী লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খানের নিকট আদালতের প্রশ্নের জবাবসহ তাহার বিবৃতি:(শেষাংশ)
১৫ই আগস্ট হত্যা সংক্রান্ত মামলায় মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে জড়িয়ে আমাকে আসামী করা হয়েছে। আমি কোন প্রকার হত্যাকাণ্ডের সহিত কখনই জড়িত ছিলাম না।

আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ যে সকল সাক্ষীরা আমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তা তদন্তকারী কর্মকর্তার শিখানো মতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা সাক্ষ্য। যে কয়েকজন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্যে আমাকে দেখেছে বলে দাবী করেছে, তারা সত্যিকার অর্থে আমাকে চেনে না এবং কখনও দেখেনি কেন না তারা আমার রেজিমেন্টের লোক ছিল না। তারা কখনও আমার সাথে চাকুরী করেনি। মিথ্যা সাক্ষ্যকে শক্তিশালী করার জন্য উক্ত সাক্ষীদের কয়েকজনকে কোর্টে এনে আমাকে দেখিয়ে চিনিয়ে দেয়া হয়েছে। বস্তূত: তারা কেউ আমাকে চেনে না এবং আমিও তাদেরকে চিনি না।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট থেকে আমি মেজর জেনারেল (অব.) খলিলুর রহমানের স্টাফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট একজন কর্মরত সামরিক অফিসার হিসেবে মেজর জেনারেল (অব.) খলিলুর রহমান সে ভূমিকা পালন করেন। তার স্টাফ অফিস এবং তার অধ:স্তন অফিসার হিসেবে আমিও একইরূপ দায়িত্ব পালন করি। মেজর জেনারেল (অব.) খলিলুর রহমান মাননীয় আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। কিন্তূ তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুল কাহার আকন্দ জেরার জবাবে সত্য স্বীকার করেছেন যে, আমি মেজর জেনারেল (অব.) খলিলুর রহমানের স্টাফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট এর মামলায় আমাকে জড়িত থাকার অভিযোগটি মিথ্যা এবং অসৎ উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। আমি নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবী করছি।

তথ্যসুত্র: বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়, গ্রন্থনা ও সম্পাদনা- রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী।(চলবে)

আরও পড়ুন :

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-৯

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-৮
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-৭
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-৬
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-৫ম পর্ব

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-৪র্থ পর্ব

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-৩য় পর্ব

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পুর্ণাঙ্গ রায়-২য় পর্ব
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পুর্ণাঙ্গ রায়-প্রথম পর্ব

গ্রন্থনা: ইয়াসীন হীরা, সম্পাদনায়: এইচ চৌধুরী

Loading


শিরোনাম বিএনএ