31 C
আবহাওয়া
১২:৩০ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-১১

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-১১

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-৩৪

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কতিপয় উগ্রবাদী সেনা সদস্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে।হত্যাকারিরা ক্ষমতাসীন হয়ে ওই বছর ২৬ সেপ্টেম্বর ‘ ইনডেমনিটি ‘ অডিন্যান্স জারি করে। যা পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে সেটিকে আইনে পরিণত করেন। হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে  ক্ষমতাসীন হয় আওয়ামী লীগ।

বাতিল করে ‘ইনডেমনিটি অ্যাক্ট’। এরপর ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকা জেলা দায়রা জজ আদালত ১৮ আসামির মধ্যে ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। আসামিরা আপিল করেন। ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টে বিভক্ত রায় প্রকাশ হয়। পরে ১২ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল থাকে।

কীভাবে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা মামলার বিচার হয়েছিল তা নতুন প্রজন্মের অনেকের কাছে অজানা! বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি(বিএনএ) বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছে।

আজ প্রকাশিত হল পর্ব-১১

৩)আসামী লে. কর্ণেল মহিউদ্দিনের (আর্টিলারি)লিখিত বিবৃতি:
আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমি লে. কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমেদ বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত একজন সামরিক কর্মকর্তা। অত্র মামলার কথিত ঘটনার পূর্ব হইতেই সেনাবাহিনীতে চাকুরি করিয়া আসিতেছিলাম। ১৯৯৬ সালের ১৭ই নভেম্বর হইতে আমার অবসর প্রস্তূতিকালীন ছুটি শুরু হয় এবং ১৬ই নভেম্বর ১৯৯৭ তারিখে শেষ হয়। উহার পর হইতে আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা। লে. কর্ণেল পদে থাকাকালে ১৯৯৬ সনের ২রা নভেম্বর আমার কর্মস্থল হইতে আমাকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার অনুরোধে ডি.জি.এফ.আই. অফিসে নিয়ে আসা হয় এবং তথায় থাকা অবস্থায় ৫-১১-৯৬ তারিখ অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দ আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে আমি বলি যে, মামলার ঘটনার সহিত আমি কোনভাবে জড়িত নই। তখন তিনি তাহার বলা মতে এই মামলার সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আমাকে বার বার চাপ দিতে থাকেন। কিন্তূ তাহার কথায় আমি রাজি হই নাই। ২-১১-৯৬ তারিখে ডি.জি.এফ.আই. অফিসে আসার পূর্ব হইতেই আমি অসুস্থ ছিলাম এবং মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুসারেই চলিতেছিলাম।

অসুস্থ অবস্থায় আমাকে ডি.জি.এফ.আই. অফিসে রাখা হয় এবং সেখান হইতে ১৮-১১-৯৬ তারিখে আমাকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দ সাহেব ডি.জি.এফ.আই. এর আপত্তি উপেক্ষা করিয়া তাহার সি.আই.ডি. অফিসে নিয়ে আসেন এবং সেখান হইতে ১৯-১১-৯৬ তারিখে সি.আই.ডি.এর গাড়িতে করিয়া তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাকে সি.এম.এম. আদালত প্রাঙ্গণে বেলা ১১টায় নিয়ে আসেন এবং উক্ত প্রাঙ্গণে ঐ গাড়িতে আমাকে বসাইয়া রাখিয়া তথা হইতে বেলা ৩টার সময় আমাকে আবার সি.আই.ডি. অফিসে নিয়ে যায়।

তথায় ৭ দিন যাবত আমাকে সি.আই.ডি. অফিসের ৪ তলায় পায়খানার পাশে ফ্লোরে রাখে কিন্তূ ঐ ৭ দিন আমাকে কোন বিছানাপত্র দেওয়া হয় নাই। এই পুলিশ হেফাজতে থাকাকালে আমার শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং তাহার সহযোগী সমীর বাবু আমার উপর মানসিক ও দৈহিক নির্যাতন করেন এবং তাহারা আমাকে নানাভাবে ভয় দেখান।

আরও পড়ুন :

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-১০

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-৯

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-৮
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-৭
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-পর্ব-৬
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-৫ম পর্ব

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-৪র্থ পর্ব

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়-৩য় পর্ব

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পুর্ণাঙ্গ রায়-২য় পর্ব
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পুর্ণাঙ্গ রায়-প্রথম পর্ব

গ্রন্থনা: ইয়াসীন হীরা, সম্পাদনায়: এইচ চৌধুরী

Loading


শিরোনাম বিএনএ