36 C
আবহাওয়া
১:১১ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কুবিতে ছাত্রলীগের উন্মুক্ত বক্তব্য প্রতিযোগিতা

কুবিতে ছাত্রলীগের উন্মুক্ত বক্তব্য প্রতিযোগিতা

কুবিতে ছাত্রলীগের উন্মুক্ত বক্তব্য প্রতিযোগিতা

বিএনএ, কুবি :কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগের আয়োজনে ‘মুজিবঃ একটি তর্জনী গর্জন, একটি জাতির অভ্যুদয়’ শীর্ষক উন্মুক্ত বক্তব্য প্রতিযোগিতা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম হলে এ বক্তব্য প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা হয়।

অনুষ্ঠানে হলটির সাধারণ সম্পাদক আশিক আব্দুল্লাহ ‘র সঞ্চালনা ও সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুল হাসান পলাশের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ৷

এসময় প্রধান আলোচক ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদ ও বিশেষ আলোচক ছিলেন হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইমরান হোসাইন।

বক্তব্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শন, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে রেজাউল ইসলাম মাজেদ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দলে সবসময় কিছু চালাক শকুন থাকে৷ যদি তাদেরকে শুধু গুরুত্ব দেওয়া হতো তাইলে আমরা কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না৷ পাগল যারা আছে তাদের জন্যই দল ঠিকে থাকে৷ তাদের জন্যই দেশ স্বাধীন হয়েছে৷ সেই চালাক শকুনরা ঘরের ভেতর বসে ছিলো৷ ৷

তিনি আরও বলেন, রাজনীতিতে চাওয়া-পাওয়ার কিছু হিসাব থাকে৷ কিন্তু আসল চাওয়া-পাওয়াটা হতে হবে দলের জন্য৷ রাজনীতি করলে দলের জন্য রাজনীতি করবা, শেখ হাসিনার জন্য রাজনীতি করবা৷ ভালোবাসলে দল কে ভালোবাসবা৷ বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসবা৷ দিনশেষে নিজের শান্তনাটুকু খুজে পাবা৷

নেতাকর্মীদের আরও বলেন, সবাই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকবে কিন্তু পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে। একটি ভালো অবস্থানে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হাসিঠাট্টা করে তাদের প্রত্যকটা সুশীল, তারা বঙ্গবন্ধুর শত্রু, আওয়ামী লীগের শত্রু, ছাত্রলীগের শত্রু। ছাত্রলীগের চলার পথ কখনোই মসৃণ ছিল না৷ যত ঝড় গেছে সব ছাত্রলীগের উপর দিয়ে গেছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বহিস্কৃত হওয়ার ঘটনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও বহিস্কারের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। অথচ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় গত সাড়ে পাঁচ বছরে সেইরকম ঘটনা নেই। হলের কর্মীদের ভুলের বিচার অন্য কারো হাতে তুলে দেই নাই। আমি আমার কর্মীদেরকে কখনো প্রশাসন কিংবা অন্য কারও হাতে তুলে দেইনি৷ তাদেরকে একাডেমিক কোন বহিষ্কার কিংবা বড় কোন শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়নি৷

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আমাদের এখানে প্রোগ্রাম খুবই কম সময়ের হয়৷ ঘন ঘন প্রোগ্রাম দিয়ে কারো সময় অযথা নষ্ট করিনা৷ অথচ আমাদের হলের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা কম করে৷ হল হচ্ছে পড়াশোনার উত্তম স্থান। পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিসে আমাদের কর্মীদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

সভাপতির বক্তব্যে নাজমুল হাসান পলাশ বলেন,শোকের মাসে কোন হল শাখা ছাত্রলীগের উদ্যেগে এটাই প্রথম আয়োজন৷ তবে এটাই শেষ নয়৷ ভবিষ্যতেও আরও এরকম অনুষ্ঠান হবে৷ আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। আগামীতেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

বিএনএ/ হাবিবুর রহমান ,ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ