29 C
আবহাওয়া
৩:২২ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-৭৯ (চুয়াডাঙ্গা-১)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-৭৯ (চুয়াডাঙ্গা-১)


বিএনএ, ঢাকা: বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৫ম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক দল গুলোর আসন ভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম। আজ থাকছে চুয়াডাঙ্গা -১ আসনের হালচাল।

চুয়াডাঙ্গা-১ আসন

চুয়াডাঙ্গা-১ সংসদীয় আসনটি আলমডাঙ্গা উপজেলা এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া, মোমিনপুর, কুতুবপুর, শংকরচন্দ্র ও পদ্মবিলা ইউনিয়ন গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ৭৯ তম আসন।

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির মিয়াঁ মোঃ মনসুর আলী বিজয়ী হন

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ আসনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৩২ হাজার ৮ শত ৩৪ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭ শত ৪৮ জন। নির্বাচনে বিএনপির মিয়াঁ মোঃ মনসুর আলী বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৫৫ হাজার ৩ শত ৮৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের সোলায়মান হক জোর্য়াদ্দার ছেলুন । নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৫৩ হাজার ৫ শত ৩৫ ভোট।

৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন:বিএনপির সামশুজ্জামান দুদুকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে। এই নির্বাচনে বিএনপি, ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে। নির্বাচনে বিএনপির সামশুজ্জামান দুদুকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির পঞ্চম জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য মনসুর আলী। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির সামশুজ্জামান দুদু বিজয়ী

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ১৫ হাজার ৬ শত ৮৪ জন। নির্বাচনে বিএনপির সামশুজ্জামান দুদু বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৮৯ হাজার ৭ শত ৮৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের সোলায়মান হক জোর্য়াদ্দার ছেলুন । নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৭৭ হাজার ৪ শত ৮৯ ভোট।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন: বিএনপির শহীদুল ইসলাম বিশ্বাস বিজয়ী হন

২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ১৪ হাজার ৪ শত ০৭ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৭৩ হাজার ৪শত ৯২ জন। নির্বাচনে বিএনপির শহীদুল ইসলাম বিশ্বাস বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৫১ হাজার ৭ শত ৬৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের সোলায়মান হক জোর্য়াদ্দার ছেলুন । নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ১৩ হাজার ৩ শত ৩৩ ভোট।

নবম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের সোলায়মান হক জোর্য়াদ্দার ছেলুন বিজয়ী হন

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৬৫ হাজার ২ শত ৭৬ জন। ভোট প্রদান করেন ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৮ শত ৩০ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সোলায়মান হক জোর্য়াদ্দার ছেলুন বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৮৯ হাজার ৭ শত ২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৩৯ হাজার ৫ শত ৩৪ ভোট।

দশম জাতীয় সংসদ: আওয়ামী লীগের সোলায়মান হক জোর্য়াদ্দার ছেলুন বিজয়ী হন

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৩৪ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ২ শত ৪২ জন। নিবাচনে আওয়ামী লীগের সোলায়মান হক জোর্য়াদ্দার ছেলুন বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৪৫ হাজার ১ শত ৩৪ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাসদের সবেদ আলী। মশাল প্রতীকে তিনি পান ২০ হাজার ১ শত ৮ ভোট। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের সোলায়মান হক জোর্য়াদ্দর ছেলুন বিজয়ী হন

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮ শত ৪৫ জন। ভোট প্রদান করেন ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৯ শত ২৪ জন।

নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৫ জন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের সোলায়মান হক জোর্য়াদ্দার ছেলুন, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির মোহাম্মদ শরীফুজ্জামান, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির সোহরাব হোসেন, হাত পাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম, হারিকেন প্রতীকে মুসলীম লীগের মেরিনা আক্তার প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সোলায়মান হক জোর্য়াদ্দর ছেলুন বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৩ লাখ ৯ হাজার ৯ শত ৯৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির মোহাম্মদ শরীফুজ্জামান। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান মাত্র ২৩ হাজার ১ শত ২০ ভোট। কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, চুয়াডাঙ্গা-১ সংসদীয় আসনে পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম সংসদে টানা বিএনপি এবং নবম, দশম ও একাদশ সংসদে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়।

দৈবচয়ন পদ্ধতিতে জরিপ 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৬৮.৬১% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৩.৫১%, বিএনপি ৩৪.৬৭%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৩১.৮২% ভোট পায়।

১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮৪.৫৭%। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৫.৯৩%, বিএনপি ৪১.৬৩%, জাতীয় পাটি ২.৪২%, জামায়াতে ইসলামী ১৬.৪০ %, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৩.৬২% ভোট পায়।
২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮৬..৯৯% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪১.৪৪%, ৪দলীয় জোট ৫৫.৪৯%, জাতীয় পার্টি ০.৫৪%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ২.৫৩% ভোট পায়।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৯২.৫৫% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট ৫৬.২০%, ৪ দলীয় জোট ৪১.৬৩%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দল ২.১৭% ভোট পায়।

চুয়াডাঙ্গা -১ সংসদীয় আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও মনোনয়ন চাইবেন। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ-বিষয়ক সম্পাদক প্রখ্যাত অর্থোপেডিক সার্জন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামসুল আবেদীন খোকন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্পবাণিজ্যবিষয়ক উপকমিটির সদস্য এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলিপ কুমার আগরওয়ালা।

বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ শরীফুজ্জামান শরীফ। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ছিলেন। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদুর ভাই ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান বুলা এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মো. কামরুজ্জামান বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন।

জাতীয় পার্টি পাটি থেকে মনোনয়ন চাইবেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন।
নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় জামায়াতে ইসলামী দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে না। বিএনপির প্রতীক ধানের শীষে চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির আনোয়ারুল হক মালিক মনোনয়ন চাইবেন।

তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনটি ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদের আগ পর্যন্ত বিএনপির শক্ত ঘাটি ছিল। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে চলে যায়। গত ১০ বছর ধরে আওয়ামী লীগে অন্তকোন্দল চলছে। গত কয়েক বছরে সেই কোন্দলের ডালপালা ছড়িয়ে পড়েছে উপজেলা, ইউনিয়ন এমনকি ওয়ার্ড পর্যায়েও যা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বেশ প্রভাব ফেলবে। বিএনপিও দলীয় কোন্দল মুক্ত নয়। জাতীয় পাটি ও জামায়াতে ইসলামীর সংগঠনিক তৎপরতা নেই। তবে জামায়াতে ইসলামীর প্রচুর ভোট রয়েছে। যা বিএনপির বাক্সেই যাবে। সেইদিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বিএনপি।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চাইবে তাদের হারানো আসনটি পুনরুদ্ধার করতে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ চাইবে আসনটি ধরে রাখতে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ৭৯তম চুয়াডাঙ্গা-১ সংসদীয় আসনটি আওয়ামী লীগ ধরে রাখতে পারবে কীনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

প্রতিবেদনটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন। অন্যদের জানার সুযোগ দিন। প্রতিদিন ধারাহিকভাবে প্রচারিত আসনভিত্তিক গবেষণামূলক প্রতিবেদন গুলো দেখুন এবং নিজের রাজনৈতিক জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করুন। লাইক, কমেন্ট, ও সাবস্ক্রাইব করে ‘বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর’ এর সঙ্গে থাকুন।

বিএনএ/ শিরীন, এমএফ,ওয়াইএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ