37 C
আবহাওয়া
৪:০৫ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রাউজানে স্মৃতিসৌধ ভাংচুর: জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

রাউজানে স্মৃতিসৌধ ভাংচুর: জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

রাউজানে স্মৃতিসৌধ ভাংচুর: জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

বিএনএ, রাউজান (চট্টগ্রাম): রাউজানের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের কাগতিয়া এলাকায় ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় রাতে কাগতিয়া মাদ্রাসায় রাজাকার ক্যাম্পে হানা দেয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা। ঐসময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে রাজাকার বাহিনীর সদস্যদের যুদ্ধ সংগঠিত হয়। যুদ্ধ চলাকালে রাজাকার বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে রাউজানের মোহাম্মদপুর গ্রামের অলি খান বাড়ীর ফোরক সারাংয়ের পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুসা মারাত্মকভাবে আহত হয়। আহত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা রাউজানের আবুরখীল এলাকায় গোপনে চিকিৎসা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুছা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

এ সংবাদ পেয়ে হানাদার বাহিনীর সদস্যরা রাজাকার বাহিনীর আবুরখীল এলাকায় হানা দেয়। ঐ সময়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মো. মুছার মরদেহ ফেলে মুক্তিযোদ্ধারা দূরে সরে যায়। এরপর থেকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মো. মুসার কোন হদিস পাওয়া যায়নি। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ে রাজাকার বাহিনীর হাতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মো. মুসার স্বরণে যুদ্ধ সংঘঠিত স্থানে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির সহায়তায় কাগতিয়ায় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মাণ করা হয় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাতে দুবৃত্তরা স্মৃতিসৌধটি ভাংচুর করে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) এ খবর পেয়ে রাউজানের মুক্তিযোদ্ধারা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। জুমার নামাজের পর মুক্তিযোদ্ধারা স্মৃতিসৌধে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।

প্রতিবাদ সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউছুফ খান চৌধুরী, খোকন কান্তি বড়ুয়া, আবু মোহাম্মদ, সাধন পালিতসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা বক্তব্য রাখেন। প্রতিবাদ সভায় মুক্তিযোদ্ধারা রাউজান থেকে বিতারিত উগ্রবাদী ধর্মীয় সংগঠনের সদস্যরা স্মৃতিসৌধ ভাংচুর করেন বলে উল্লেখ করে অবিলম্বে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানান।

প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত হয়ে সংহতি প্রকাশ করেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার বাবুল, রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আনোয়ারুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ ব্যাপারে রাউজান থানার ওসি জাহিদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ভাংচুর করার সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনার ব্যাপারে মাহিন নামের এক যুবক বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ১০/ ১৫ জনকে আসামী করে রাউজান থানায় অভিযোগ করেন। ঘটনার বিষয়ে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ভাংচুর করার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুল ওহাবসহ রাউজানের বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

বিএনএনিউজ/ শফিউল আলম/ বিএম/এইচমুন্নী 

Loading


শিরোনাম বিএনএ