38 C
আবহাওয়া
৬:১০ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » পাটুরিয়ায় ফেরিডুবি, ঘটনা অনুসন্ধানে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি

পাটুরিয়ায় ফেরিডুবি, ঘটনা অনুসন্ধানে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি

পাটুরিয়ায় ফেরিডুবি, ঘটনা অনুসন্ধানে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি

বিএনএ ঢাকা: মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে রো রো ফেরি শাহ আমানত ডুবির কারণ অনুসন্ধানে সাত সদস‌্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এই কমিটিকে আগামি সাত কার্যদিবসের মধ্যে নৌপরিবহন সচিবের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) গঠিত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সুলতান আব্দুল হামিদকে। সদস‍্য সচিব হলেন বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (কারিগরি) মো. রাশেদুল ইসলাম।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-বিআইডব্লিউটি-এর পরিচালক (আইসিটি) রকিবুল ইসলাম তালুকদার, নৌপরিবহন অধিদফতরের নটিক‍্যাল সার্ভেয়ার এন্ড এক্সামিনার ক্যাপ্টেন সাঈদ আহমেদ। মানিকগঞ্জ জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক, বুয়েটের নেভাল আর্কিটেকচার এন্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের সহযোগী অধ‍্যাপক ড. জুবায়ের ইবনে আউয়াল এবং নৌপুলিশের ফরিদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন।

এদিকে, ডুবে যাওয়া রো রো ফেরি শাহ আমানতে থাকা যানবাহন উদ্ধারে কাজ করছে বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা। বুধবার সকাল সাড়ে নয়টায় পাটুরিয়া ঘাটের ৫ নম্বর ঘাটে ১৯টি গাড়ি নিয়ে ফেরিটির একাংশ পানিতে ডুবে যায়।

পাটুরিয়ায় ফেরিডুবি, ঘটনা অনুসন্ধানে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা শাখার উপমহাব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমান জানান, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাট থেকে যানবাহন লোড করে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে নোঙর করে বড় আকারের রো রো ফেরি আমানত শাহ। কয়েকটি গাড়ি নামার পরপরই ফেরিটির এক পাশ কাত হয়ে যায়।  এরপর ১৯টি গাড়ি পদ্মায় পড়ে যায় বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

পদ্মায় পড়ে যাওয়া গাড়িগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ ট্রাক ছিল। পাশাপাশি কয়েকটি ছোট গাড়িও ছিল। তবে কোনো বাস ছিল না। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ফেরিটি ডুবে যাওয়ার সময় অধিকাংশ যানের যাত্রী লাফিয়ে পড়েন বলে জানা যায়।

অন্যদিকে, ডুবে যাওয়া রো রো ফেরি আমানত শাহ ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে চলাচল করছিল বলে জানা গেছে। অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল অধ্যাদেশ অনুযায়ী, একটি নৌযানের নিবন্ধনের মেয়াদ হয় ৩০ বছর। এরপর বিশেষ জরিপের (ফিটনেস) মাধ্যমে দুইবার পাঁচ বছর করে নিবন্ধনের মেয়াদ বাড়ানো যায়। তবে ৪০ বছরের বেশি সময় কোনোভাবেই কোনো নৌযান চলাচল করতে পারে না।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) নৌযানের তালিকা অনুযায়ী, রো রো আমানত শাহ ফেরিটি ১৯৮০ সালে তৈরি। ৮০৬.৬০ টন ওজনের ফেরিটি সর্বোচ্চ ১০.২৫ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলাচলকারী ফেরিটি ৩৩৫ জন যাত্রী ও ২৫টি যানবাহন বহনকরতো।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ