39 C
আবহাওয়া
৬:৪৫ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সিইউএফএল’র উপ-ব্যবস্থাপক আমিনুলের কান্ড!

সিইউএফএল’র উপ-ব্যবস্থাপক আমিনুলের কান্ড!

সিইউএফএল'র উপ-ব্যবস্থাপকের কাণ্ড!

বিএনএ ডেস্ক: ৬ কর্মচারীর জায়গায় ৮ জন দেখিয়ে বছরের পর অর্থ আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন চিটাগাং ইউরিয়া ফাটিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) উপ-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আমিনুল হক।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, উপ-ব্যবস্থাপক আমিনুল হক সর্বসাকুল্যে বেতন পান ২৭ হাজার টাকা। কিন্তু অথিতি ভবনে দুইজন ভুয়া কর্মচারির নাম দিয়ে প্রতি মাসে উত্তোলন করছেন অন্তত ৬৯ হাজার টাকা! ২০২২ সালের জুলাই মাসের একটি নোট সিট থেকে এ তথ্য জানা জানা যায়।

নোট সিটে দেখা যায়, সিইউএফএল-এর অতিথি ভবনে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে ৮জন কর্মচারি কাজ করছেন। সেখানে দক্ষ শ্রমিকদের মধ্যে আছেন, মোহাম্মদ মুসা, মোহাম্মদ নুরুল হক, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, মোহাম্মদ শাহ আলম, মো. তোফায়েল আহমদ। এছাড়া মমতাজ বেগম ও হাফিজুর রহমান কাজ করছেন অদক্ষ শ্রমিক হিসেবে। সেখানে একজন দক্ষ শ্রমিকের দৈনিক পারিশ্রমিক ৬০০ টাকা আর অদক্ষ শ্রমিক পায় ৫৭৫ টাকা।

কাজী আমিনুল হক স্বাক্ষরিত নোট শীটে বলা হয়, কারখানাটির অতিথি ভবনে ৮জন ঠিকাদার শ্রমিক কর্মরত আছেন। অতিথি ভবনে তাদের নির্ধারিত ৮ ঘন্টা ডিউটির পরও অতিরিক্ত সময়ও কাজ করেন তারা। গত জুলাই মাসে ৮জন শ্রমিক ২২৩ শ্রম দিবস অতিরিক্ত কাজ করেছেন।

সেখানে দেখানো হয়, ৮ জন শ্রমিক ৮ শ্রমঘন্টার পরও প্রত্যকে অতিরিক্ত কাজ করেছেন। সে হিসাবে ২২৩ কর্মদিবস অতিরিক্ত কাজ (ওভার টাইম) দেখানো হয়। তবে অদক্ষ শ্রমিক মমতাজ বেগম ও হাফিজুর রহমান বাস্তবে কোন অস্তিত্ব নেই। কিন্তু প্রতি মাসে তাদের ডাবল হাজিরা দেখানো হয়। সে হিসাবে জুলাই মাসে ৬৭ হাজার ৮৫০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন উপ-ব্যবস্থাপক আমিনুল হক। গত এক বছরে তিনি আত্মসাৎ করেছেন প্রায় ৮ লাখ টাকা। বছরের পর পর তিনি এভাবে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেই চলেছেন। অভিযোগ রয়েছে তার সাথে সিবিএ’র আরও তিন নেতা জড়িত।

সিইউএফএল'র উপ-ব্যবস্থাপক আমিনুলের কান্ড!
সিইউএফএল’র উপ-ব্যবস্থাপক আমিনুলের কান্ড!

এ বিষয়ে জানতে উপ-ব্যবস্থাপক কাজী আমিনুল হকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। তিনি চট্টগ্রামের শ্রম আদালতে ব্যস্ত আছেন বলে জানান। পরে বিস্তারিত জানানোর কথা থাকলেও আর যোগাযোগ করেন নি।

সিইউএফএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখতারুজ্জামান বলেন, কে কোথায় কীভাবে কাজ করেন সেটা তার জানা নেই। কয়েক ধাপ পার হয়ে তার কাছে ফাইল আসে। এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চিটাগাং ইউরিয়া ফাটিলাইজার লিমিটেডে শুধু অতিথি ভবনে ভুয়া শ্রমিক দেখিয়ে লাখ অর্থ আত্মসাৎ নয়। বিভিন্ন বিভাগে এরকম হরিলুট চলছে। এ বিষয়ে প্রতিবছর অডিট আপত্তি দিলেও তা রহস্যজনকভাবে ধামাচাপা দেয়া হয়।

বিএনএ/এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ