বিএনএ,ঢাকা:স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে শনিবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।সব শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়ার পরই আবাসিক হলে তোলা হবে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার(২৫ ফেব্রুয়ারি)সেগুনবাগিচায় মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার কারণে হলগুলোর সংস্কারকাজ এবং শিক্ষার্থীর সুরক্ষার কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার জন্য সময় নেয়া হয়েছে।পরীক্ষা পেছালেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়বে না।এমনকি যাদের বয়স বেড়ে যাবে তাদেরও কোনো সমস্যা হবে না।একান্ত মানবিক কারণে ৭ কলেজের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম করা হয়েছে।কারণ তারা তিন বছর পিছিয়ে আছে।
তিনি বলেন,৪৩তম বিসিএসের আবেদনের একটা তারিখ দেয়া আছে।পরীক্ষারও একটা নির্ধারিত তারিখ ছিল।সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে।৪৩তম বিসিএসে আবেদনের সময়, পরীক্ষার সময় এবং এই কতদিন পরীক্ষা পেছানোর কারণে কারও যদি বয়সের সমস্যাও দেখা দেয় সেই সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থাটা সরকার করবে।সাময়িক অসুবিধা হয়তো অনেকেরই হবে, অনেকে টিউশনি করে পড়াশোনা করেন,অনেকে নিজ অর্থায়নে এখন হলের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় মেস ভাড়া করে আছেন,কষ্টে অনেকেই আছেন।তারপরও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি বুঝবেন বলে জানান দীপু মনি।
শিক্ষার্থীদের সরকারের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার আহ্বান দীপু মনি বলেন,একটি চিহ্নিত মহল দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য বারবারই অপচেষ্টা চালাচ্ছে।কখনও ভাস্কর্যের নামে আন্দোলন, আবার কখনও বিদেশি একটি সংবাদমাধ্যমে মিথ্যা নানান তথ্য প্রচার করে সাজানো নাটক প্রচার করছে।সেগুলোর সবকিছুতে বিফল হয়ে এখন তারা দেশের ছাত্রসমাজকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন,বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের হাতেই ভাষার অধিকার,স্বাধীনতা পেয়েছে বাঙালি।গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছাত্রসমাজ অনন্য ভূমিকা পালন করেছে।আজকে যখন বৈশ্বিক সংকট চলছে, সেই সময়ে শিক্ষাবান্ধব সরকার, বঙ্গবন্ধুকন্যার সরকার সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।এটি সকল উপাচার্যদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিএনএনিউজ/আরকেসি
