ঢাকা: গত ১৬ বছর ফ্যাসিবাদীরা আওয়ামী স্বৈরশাসনের নির্লজ্জ দালালি আর পদলেহন করে জাতীয় কবিতা পরিষদের নাম ভাঙিয়ে কোটি কোটি টাকা, বিভিন্ন জাতীয় প্রতিষ্ঠানের পদ-পদবি আর পুরস্কার হাতিয়ে নিয়েছে। এই কমিটির নেতারা বলেছেন, জাতীয় কবিতা পরিষদ এখন থেকে আর কোনো স্বৈরাচারের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে না। প্রতিষ্ঠাকালীন আদর্শ ও লক্ষ্যে সংগঠনটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
মঙ্গলবার(২০ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন কবিতা পরিষদের নতুন কমিটির সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত সবার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জাতীয় কবিতা পরিষদের নাম ভাঙিয়ে কবি নামধারী এই সব দুর্বৃত্ত আওয়ামী দুঃশাসনে নিপীড়িত, নির্যাতিত, আহত-নিহতদের নিয়ে কিংবা হাসিনা সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাটের বিরুদ্ধে টুঁ শব্দটিও কখনো করেনি। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত হত্যা, নির্যাতনের প্রকাশ্য সহযোগী ছিল তারা।’
জাতীয় কবিতা পরিষদের নতুন কমিটির সদস্যদের ভাষ্য, এই সংগঠন তার সংগ্রামী চরিত্র বদল করে তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের লেজুড়বৃত্তি শুরু করে। প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা-কর্মীরা এর বিরোধিতা করলে কয়েকজন দলদাস আওয়ামীপন্থী কবি কবিতা পরিষদ দখল করে নেন। এতে কবিতা পরিষদ হয়ে ওঠে দলবাজদের অর্থ-বিত্ত-সম্পদ এবং বিভিন্ন জাতীয় পুরস্কার বাগিয়ে নেওয়ার হাতিয়ার।
এসব অভিযোগ এনে এই সংগঠন আবার নতুন করে গুছিয়ে আনার ঘোষণা দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
এর আগে ১৪ আগস্ট এক সভায় জাতীয় কবিতা পরিষদ পুনর্গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে কবিতা উৎসব আয়োজনের জন্য মোহন রায়হানকে আহ্বায়ক এবং রেজাউদ্দিন স্টালিনকে সদস্যসচিব করে ২৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কবিতা পরিষদের আহ্বায়ক মোহন রায়হান, সদস্যসচিব রেজাউদ্দিন স্টালিন, লেখক হাসান হাফিজ, কবি ও লেখক এ বি এম সোহেল, শাহীন রেজা, গোলাম শফিকসহ আরও অনেকে। তবে জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
বিএনএ, এসজিএন