।।আর করিম চৌধুরী।।
বিএনএ,রাঙ্গামাটি:টানা তিন দিনের ছুটিতে রূপের রাণী পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে।অগণিত পর্যটকের পদচারণায় মুখর পুরো জেলা শহর।দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা হাজারো ভ্রমণ পিপাসু মানুষ জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন।প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। রাঙ্গামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স ও পলওয়েল পার্কসহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে প্রিয়জনদের নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন সবাই।আবার কেউ কেউ জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালি,সুবলং ঝর্ণাসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ছুটে যাচ্ছেন।
হোটেল মালিকরা বলেছেন, এবারের সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ছুটি যুক্ত হওয়ায় ৩ দিনের বন্ধে শুক্রবার থেকে রাঙ্গামাটিতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক ছুটে এসেছেন। হোটেল মোটেলের কক্ষগুলো খালি নেই।জমে উঠেছে পর্যটক সম্পর্কিত ব্যবসা-বাণিজ্য।
রাঙ্গামাটি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মঈন উদ্দিন সেলিম জানান,করোনা কারণে হোটেল-মোটেল বন্ধ থাকার পর এ প্রথম রাঙ্গামাটিতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। জেলায় মোট ৪৫টি হোটেল-মোটেল রয়েছে।সবগুলোই ৮০ ভাগই বুকিং হয়ে গেছে।তবে,রাঙ্গামাটিতে নির্দিষ্ট বাস গাড়ি ছাড়া বিলাসবহুল কোন এসি বাস প্রবেশ করতে না পারায় পর্যটক কম হচ্ছে বলে জানান তিনি।
রাঙ্গামাটি রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম. নেকবর আলী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, করোনার কারণে এই জেলাটি দীর্ঘদিন পর্যটক শূন্য ছিল।টানা তিনদিনের ছুটিতে রাঙ্গামাটিতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটায় তারা খুবই খুশি।
ট্যুরিষ্ট বোট-মালিক কল্যাণ সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ রমজান আলী জানান,টানা দিনের ছুটিতে রাঙ্গামাটিতে প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটেছে।ফলে টুরিস্ট বোটগুলোও খালি যাচ্ছে না। রোনার কারণে বন্ধ থাকার পর এই তিন দিনের ছুটিতে বোট-মালিকেরা ভালো লাভবান হয়েছেন।
পর্যটকরা জানান,টানা তিনদিনের ছুটি থাকায় পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে রাঙ্গামাটিতে এসেছেন তারা।পাহাড়-পর্বত আর ঝর্ণা দেখে বেশ ভালই লাগছে।সেইসঙ্গে আকাবাঁকা পাহাড়ি পথে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দটাই আলাদা।পাহাড়-পর্বত নিয়ে দারুণ একটি অনুভূতি তৈরি হয়েছে।তবে,পর্যটন কেন্দ্রগুলো আরও উন্নতমানের হলে রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের প্রচুর সমাগম ঘটবে বলে মনে করেন তিনি।
বিএনএনিউজ