31 C
আবহাওয়া
১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ১৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রিজেন্টকাণ্ড, ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন

রিজেন্টকাণ্ড, ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন

রিজেন্টকাণ্ড, ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন

বিএনএ ঢাকা: রিজেন্টকাণ্ডে দায়ের করা মামলায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে, এর আগে মামলায় আসামির তালিকায় আবুল কালাম আজাদের নাম ছিল না।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ওই চার্জশিট অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র জানিয়েছে।

চার্জশিটে সাবেক ডিজি আজাদ, রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম ছাড়াও আসামি করা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক  আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক শফিউর রহমান ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের গবেষণা কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামকে।

অনুমোদিত চার্জশিটে ছয় বছর ধরে নবায়ন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে করোনা চিকিৎসায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের করা চুক্তিকে অবৈধ বলা হয়েছে। এই অবৈধ চুক্তির ওপর ভর করেই করোনায় আক্রান্ত রোগীদের নমুনা বিনা মূল্যে পরীক্ষার নামে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান।

এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় তদন্ত করে রিজেন্টকাণ্ডে আবুল কালাম আজাদের সংশ্লিষ্টতার নানা তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে দুদক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনও বিবেচনায় আনা হয়েছে। শিগগিরই  এই চার্জশিট  আদালতে দাখিল করবে দুদক।

রিজেন্টকাণ্ডের মামলার পাশাপাশি আবুল কালাম আজাদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানও করছে দুর্নীতিবিরোধী সরকারী সংস্থাটি।

২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সাহেদ ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের চার কর্মকর্তাসহ পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। যদিও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের নাম আসামির তালিকায় ছিল না। এবার চার্জশিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হলো।

উল্লেখ্য, করোনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে সরকারের কাছে বিল দেয়া, সেইসঙ্গে রোগীর কাছ থেকেও বিল নেয়াসহ রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। গত বছরের জুলাই মাসে র‍্যাবের অভিযানে বন্ধ করে দেয়া হয় হাসপাতালটির মিরপুর ও উত্তরা শাখা।

এরপর থেকেই বেরিয়ে আসতে থাকে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিকের নানা অপতৎপরতার তথ্য। সে সময়ের মহাপরিচালকের সহায়তায় অনুমোদনহীন হাসপাতালটির সঙ্গে করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার চুক্তি করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। রিজেন্টের সাহেদের সঙ্গে ডা. আজাদের যোগসাজসের এ রকম বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

Loading


শিরোনাম বিএনএ