28 C
আবহাওয়া
৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সমুদ্রের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে: চবি ভিসি

সমুদ্রের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে: চবি ভিসি


বিএনএ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেছেন,সমুদ্রের যে সম্ভাবনা আছে তা আমাদের কাজে লাগাতে হবে।আমি স্বপ্ন দেখি। একদিন আমরা  সফল হব। আমাদের স্বপ্ন বাস্তব আকার ধারণ করবে।

বুধবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সী( বিএনএ) আয়েজিত  “সমুদ্র অর্থনীতি : বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সম্ভাবনা” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ভিসি বলেন, সমুদ্র এখন বাংলাদেশের অর্থনীতির বড় খাত। সমুদ সম্পদ আহরণ, সংরক্ষণ, বিপনণ এর ওপর জোর দিতে হবে। বাংলাদেশের সমুদ্র সীমার পরিধি আরেকটি বাংলাদেশের সমান। যা এখনো ব্যবহার হয়নি। সমুদ্রকে বিজয় করলে হবে না। সমুদ্র সম্পদকে যথাযথ ব্যবহার করে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে হবে। তবেই বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে শামিল হতে পারবে।

সময়োপযোগী এ সেমিনার করার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরসহ সমুদ্রের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাবো। সমুদ্র মন্ত্রণালয় নামে আলাদা মন্ত্রণালয় চাই আমরা।

বিএনএ প্রকাশক জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনএ সম্পাদক মিজানুর রহমান মজুমদার। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি, অর্থনীতি বিশ্লেষক ও গবেষক অধ্যাপক মইনুল ইসলাম।অন্যান্য আলোচকরা হচ্ছেন  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্স ইউনিস্টিটিউটের অধ্যাপক, পরিচালক এবং মেরিন সায়েন্স এন্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন ড. শফিকুল ইসলাম, সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্স ইউনিস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম শিকদার এবং একই বিভাগের সহকারি অধ্যাপক নেসারুল হক, ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ এনাম।

মূল প্রবন্ধে বিএনএ সম্পাদক মিজানুর রহমান মজুমদার বলেন, বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ বাণিজ্যই নদী ও সমুদ্র নির্ভর। জনসংখ্যার বিশাল অংশের খাদ্য ও জীবিকা আসে নদী ও সমুদ্র থেকে। প্রতি বছর সারা বিশ্বে প্রায় ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে সমুদ্রতে ঘিরে। ২০৫০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে প্রায় ৯০০ কোটি। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর খাবার যোগান দিতে সমুদ্রবক্ষে সঞ্চিত ও চলাচলের  ওপর মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে।

প্রধান আলোচক একুশে পদক প্রাপ্ত অধ্যাপক বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি ড. মইনুল ইসলাম বলেন, সমুদ্র বিজযে ৮ বছর পরও বাংলাদেশ তেল গ্যাসসহ বিভিন্ন লুপ্ত সম্পদ উত্তোলন করতে পারেনি। অথচ মিয়ানমার গ্যাস উত্তোলন করে রপ্তানি করছে! নীতিধারকরা রহস্যজনক কারণে নিরবতা পালন করছে! ড মইনুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্র সীমায় সাড়ে আট ট্রিলিয়ন ঘনফুট ( টিসিএফ) গ্যাস রয়েছে। অথচ কোটি ডলারের এলএনজি আমরা আমদানি করছি। তিনি পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের মাধ্যমে সমুদ্র সম্পদ, আহরণ, সংরক্ষণ ও রপ্তানি আয় বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান

তিনি বলেন,  সমুদ্র বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রায় এক লাখ আঠার হাজার আট’শ তের বর্গ কিলোমিটার সমুদ্রসীমার ওপর নিরংকুশ অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা  করতে সক্ষম হয়েছে। এই ঐতিহাসিক বিজয় অর্জনের জন্যে ইতিহাস চিরদিন শেখ হাসিনার সরকারকে কৃতিত্ব দেবে।

তিনি আরও বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে তেল ও এলএনজি’র দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। বর্ধিত আমদানি ব্যয়ের ধাক্কায় বাংলাদেশের বাণিজ্য ভারসাম্য এবং ব্যালেন্স অব পেমেন্টসের কারন্টে একাউন্টে বড়সড় ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানকে প্রাধান্য দিয়ে ব্লু-ইকনমির প্রতি যথাযথ অগ্রাধিকার প্রদান এখন সময়ের প্রধান দাবিতে পরিণত হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্স ইউনিস্টিটিউটের অধ্যাপক, পরিচালক এবং মেরিন সায়েন্স এন্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের ইউনিস্টিটিউট থেকে  এ পর্যন্ত  ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাজুয়েট তৈরী করেছি। আমাদের এ  লোক গুলোকে কাজে লাগাতে হবে। ২০১২ সমুদ্রজয়ের পর আমাদের যে কাজ হয়েছে  তা আরও বাড়াতে হবে।

সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন,সমস্যাকে আমরা সমস্যা হিসেবে দেখতে চাইনা। সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমাদের সমুদ্রকে টিকিয়ে রাখতে হবে।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনএ এর নির্বাহী সম্পাদক ইয়াসীন হীরা।পরে সাংবাদিকসহ উপস্থিত অতিথিদের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করা হয়।

বিএনএ/ ওজি , এইচএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ