34 C
আবহাওয়া
১২:৪১ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ‘ডাকাতের’ কবল থেকে যাত্রীদের বাঁচাল এসআই হেলাল

‘ডাকাতের’ কবল থেকে যাত্রীদের বাঁচাল এসআই হেলাল


বিএনএ, সাভার : ঢাকার সাভারে চলন্তবাসে যাত্রীবেশে অস্ত্র ধরে ডাকাতির সময় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এসআই হেলাল অনেকটা ফিল্মি স্টাইলে ডাকাতদের থেকে রক্ষা করেন যাত্রীদের।

সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আশুলিয়ার নবীনগর এলাকায় সেনা শপিং কমপ্লেক্সের ফুট ওভারব্রিজের পূর্ব পাশে এই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ডাকাতের ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন এক যুবক। বাস থেকে লাথি দিয়ে ফেলে দেয়াসহ মারধরে আহত হয়েছেন আরেক নারী যাত্রীসহ দুইজন। এছাড়া পুলিশের এক সদস্য এক ডাকাতকে আটক করতে গিয়ে সামান্য আহত হয়েছেন। আহত তিন যাত্রীকে নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তবে তাৎক্ষণিক ভাবে আহত ও ডাকাত সন্দেহে আটক ব্যক্তির পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।

বাসের যাত্রী মনির হোসেন বলেন, ‘বাসের যাত্রী আছিল ২০-২৫ জন। এক মহিলারে লাথি মাইরা ফালায় দিছে। একজনের পায়ে কোপ দিয়া কাইটে দিছে। তার গলায় ছুরি ধরছিলো। কইছে, না দিলে কাইটে ফেলবো। পরে একজন ডাকাতরে ধইরা গণধোলাই দিয়া পুলিশে দিছে। বাসটা তখন পলায় গেছে। বাসের স্টাফরা ডাকাতির সাথে জড়িত। না হইলে বাস পলায় গেলো ক্যা?’

বাসের আরেক যাত্রী বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সিকে বলেন, ‘সাভার পরিবহনের বাসটা সাভার যাবে। আমি বাইপাইলে উঠছি, সাভার থানা স্ট্যান্ড নামবো। দেখি যে, কয়েক জন লোক একসাথে উঠছে। ওঠার পরে বাস নবীনগরে সেনা মার্কেটের সামনে গেলে একজন লাফ দিয়া ছুরি নিয়া ড্রাইভারের কাছে বইছে। কয় যে, ওস্তাদ গাড়ি দাড় করাবেন না। দাড় করাইলে একদম মাইরা দিমু। পরে আমি ভাব ভঙ্গি দেইখা বাস থাইকা লাফ দিছি। পরে একটা মহিলা নামবে তারে এমন জোরে একটা লাথি মারছে। বেটি মনে হয় বাস থাইকা বাইরে ২০-২৫ ফুট নিচে গিয়া পড়ছে। হ্যার পা ভাইঙ্গা গেছে। আরেক যাত্রীর পায়ে কোপ দিয়া রগ কাইটা দিছে। তাগো হাসপাতালে নিয়া গেছে।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেনা মার্কেটের সামনে এক মহিলাকে বাস থেকে ফেলা দেয়া হয়েছিলো। ওই সময় বাসের যাত্রীরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করছিলো। এসময় মার্কেটের সামনে ট্রাফিক পুলিশের এসআই হেলাল ডিউটি করছিলেন। তিনি মহিলাকে ফেলে দেয়া দেখে দ্রুত একাই দৌড়ে বাসে উঠে গিয়ে ছুরি হাতে থাকা একজনকে জাপটে ধরেন। ডাকাতের সাথে ধস্তাধস্তির সময় ওই এসআই সামান্য আহতও হন। এসময় বাকী ডাকাত সদস্যরা তখন দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে বাসের যাত্রী ও উপস্থিত জনতা ওই ডাকাত সদস্যকে আটক করে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের এসআই আসলাম তাকে আটক করে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে সাভার ট্রাফিক পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ হেলাল বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সিকে বলেন, আমি সেনা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে ডিউটি করছিলাম। সাভার পরিবহন থেকে এক মহিলাকে ফেলা দেয়া হয় এবং বাসের ভিতর থেকে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুনতে পেলে দৌড়ে বাসে উঠে ছুরি হাতে থাকা এক ডাকাতকে জাপটে ধরি। পরে ডাকাতের সাথে ধস্তাধস্তির সময় চোখের নিচে ও মাথায় আঘাত পাই। তবুও আমি ডাকাতকে ছাড়িনি।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আসলামুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ওখানে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার একজনকে পাই। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একটি ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে। যাত্রীরা বলেছে, ছুরি হাতে ছিনতাইকারী বা ডাকাত সদস্যরা তাদের আক্রমণ করেছিলো। এখনও ঘটনার বিস্তারিত জানতে পারিনি।

বিএনএনিউজ/ইমরান খান/এইচ.এম।

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ