বিএনএ ঢাকা: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার যে লকডাউন আরোপ করেছে, আজ বৃহস্পতিবার সেটির দ্বিতীয় দিন চলছে।প্রথম দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিন রাস্তায় তুলনামলক শিথিলভাব দেখা গেছে।চেকপোস্টগুলো প্রথম দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিন কিছুটা নমনীয় অবস্থানে আছে পুলিশ।
লকডাউনের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখের ছুটি থাকায় সবকিছু বন্ধ ছিল। ফলে মানুষ ঘর থেকে কম বের হয়েছিল।কিন্তু দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ব্যাংক, শেয়ারবাজার, গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান খোলা। ফলে সকাল থেকে রাস্তায় গাড়ির চলাচলও বেড়েছে কিছুটা।
সকাল ৭টা থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের দলে দলে কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে।গার্মেন্টস শ্রমিকরা যেহেতু কারখানার আশপাশের এলাকায় বসবাস করেন সেজন্য তাদের পরিবহনের প্রয়োজন হয়নি।সরকার ‘কঠোর লকডাউন’ আরোপ করলেও ব্যাংকিং কার্যক্রম এবং শিল্প-কারখানা বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত রেখেছে।
বুধবার প্রথম দিন যেসব চেকপোস্টে পুলিশ বেশ কঠোর মনোভাব দেখিয়ে প্রায় প্রতিটি গাড়ি আটকে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, বৃহস্পতিবার সেই চিত্র খুব একটা দেখা যাচ্ছে না।কিছু চেকপোস্টে বাইরে আসা মানুষদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সন্তোষজনক উত্তর দিলেও বেশিরভাগই দেখাচ্ছেন খোঁড়া অজুহাত।তবে, শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে সব রাস্তায় চলাচল করা যাচ্ছে না।
এদিকে,সর্বাত্নক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও সারা দেশের বাজারগুলোতে আগের মতোই জনসমাগম লক্ষ্য করা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি কিংবা শারীরিক দূরত্ব মানার বালাই নেই। কঠোর লকডাউনের মধ্যেই জমজমাট হাট। বেশিরভাগ মানুষের মুখেই মাস্ক নেই। একে অন্যের সঙ্গে অবলীলায় হাত মেলাচ্ছেন ।
এ দফায় ‘কঠোর লকডাউন’ কার্যকর করতে সরকারের ১৩ দফা বিধি নিষেধে বলা হয়েছে, ‘অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিৎসা সেবা, লাশ দাফন বা সৎকার এবং টিকা কার্ড নিয়ে টিকার জন্য যাওয়া) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
পুলিশের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বলা হয়েছে , বুধবার থেকে কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে তা বাস্তবায়নে এবার কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।এজন্য ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে আসতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
বিএনএনিউজ/আরকেসি