31 C
আবহাওয়া
২:১৬ পূর্বাহ্ণ - মে ৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » গাইবান্ধার ভোট বন্ধ ইসির হঠকারী সিদ্ধান্ত নয়: সিইসি

গাইবান্ধার ভোট বন্ধ ইসির হঠকারী সিদ্ধান্ত নয়: সিইসি

সিইসি

বিএনএ ডেস্ক: গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট বন্ধ করা কোনো হঠকারী সিন্ধান্ত হয়। নির্বাচন কমিশন চিন্তা-ভাবনা করেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিস্থিতি নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেই নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে। এ কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সিইসি জানান, ইতোমধ্যে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অনিয়মগুলো তদন্ত করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে। প্রতিবেদন পাওয়ার পরে গাইবান্ধা-৫ আসনের পরবর্তী নির্বাচন বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচনটি যাতে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় সে জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে করণীয় সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছিল।

সিইসি বলেন, তাদের দায়িত্ব গ্রহণের পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে তারা অত্যন্ত সফল হয়েছেন। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, ঝিনাইদহ পৌরসভা, মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রের প্রতিটি ভোট কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিলো।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, সব নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিসিটিভি স্থাপনের ফলে এই অপরাধ একেবারেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছিল। তারই আলোকে এবং গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের গুরুত্বের কারণে এখানেও ইভিএমে ভোট গ্রহণ ও প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের প্রতিটি ভোটকক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। গতকাল সকাল ৮টায় যথারীতি ভোট শুরু হয়। আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে স্থাপিত কন্ট্রোল রুমে আমিসহ অন্যান্য কমিশনার, দায়িত্ব পালনকারী সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কারিগরি সহায়তাকারী ব্যক্তিরা, পরবর্তীতে মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি বলেন, ভোট শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে আমারা ৩টি কেন্দ্রে দেখতে পাই ভোট কক্ষে প্রার্থীর পুরুষ এজেন্টরা একই রকম গেঞ্জি বুকে ও পিঠে প্রাথীর মার্কা প্রিন্ট করা পরে আছেন। মহিলা এজেন্টরা একই রকম শাড়ি পরে আছেন, যা আচরণ বিধিমালার ১০(ঙ) ভঙ্গের মধ্যে পড়ে। এসব এজেন্ট ছাড়াও আরও অনেক অবৈধ লোকজন ভোটকক্ষে অবস্থান করে ভোটারদের ভোট দিতে প্রভাবিত করছেন। ভোটারদের কন্ট্রোল ইউনিটে আঙ্গুলের ছাপ দেয়ার পরপরই এজেন্টরা গোপন ভোটকক্ষে প্রবেশ করে ভোটারকে ভোট দানের সুযোগ না দিয়ে নিজেই ভোট দিয়ে দিচ্ছেন।

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের মধ্যে কেউ কেউ একই কাজ করছেন। তখন কমিশন থেকে ফোন দিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারদেরকে ভোট কক্ষের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নির্দেশ দেয়া হয়। ভোট কক্ষের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কোনো কার্যকরি উদ্যোগ তাদের নিতে দেখা যায়নি। তখন ওই ৩টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করার নির্দেশনা কমিশন থেকে প্রদান করা হয়। অতঃপর একে একে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ৫০টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে দেখা হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের অবস্থা একই রকম দেখা যায় বলে জানান সিইসি।

সিইসি বলেন, কোনো কিছু নিয়ে আমরা হতাশ হবো না। আমাদের সদিচ্ছা, প্রয়াস থাকবে। একটা দিয়ে সবগুলো মূল্যায়ন করা ঠিক হবে না। যারা দায়িত্বে অবহেলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কেন হয়েছে, কী কারণে হয়েছে কিছুই আমরা বলতে পারবো না।

বিএনএ/এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ