বিএনএ, বিশ্বডেস্ক : রাশিয়া কী ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করবে? যদি রাশিয়া যুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে বিষাক্ত কোন গ্যাস ব্যবহার করে তাহলে সেটি হবে বড় ধরণের সীমা লঙ্ঘন। যা পশ্চিমা বিশ্বকে আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করবে।
রাশিয়া দাবি করছে যে ইউক্রেন জীবাণু অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করছে । যদিও এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে ইউক্রেন বলছে এটি হলো রাশিয়ার নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা যার মূল উদ্দেশ্য ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনাকে প্রাসঙ্গিক করে তোলা।
ইউক্রেনের ল্যাবরেটরি আছে এবং সেগুলো বৈধ। দেশটির সরকার বলছে তাদের বিজ্ঞানীরা কোভিডের মতো নানা মহামারি থেকে জনগণকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য এসব ল্যাবরেটরিতে গবেষণা করে।
রাসায়নিক অস্ত্র আসলে কী এবং জীবাণু অস্ত্রের চেয়ে সেটা কীভাবে আলাদা করা যাবে।রাসায়নিক অস্ত্র হলো এমন ধরণের যুদ্ধাস্ত্র যা টক্সিন বা রাসায়নিক পদার্থ যা মানুষের শরীরের সিস্টেমগুলোতে আক্রমণ করে।
বিভিন্ন ক্যাটাগরির রাসায়নিক অস্ত্র আছে। একটা আছে চোকিং এজেন্ট- যা ফুসফুস ও রেসপিরেটরি সিস্টেমে আক্রমণ করে ফুসফুসকে অচল করে দেয়। আবার ব্লিস্টার এজেন্ট হিসেবে আছে মাস্টার্ড গ্যাস। এটা শরীরের চামড়া পুড়িয়ে দেয় ও মানুষকে অন্ধ করে দেয়।
কিছু আছে মারণাস্ত্র ধরণের। যেমন নার্ভ এজেন্ট যা মস্তিষ্কে ও শরীরের পেশীতে ঢুকে পড়ে। এর ক্ষুদ্র কণা পরিমাণও প্রাণঘাতী হতে পারে। আধা মিলিগ্রাম ভিএক্স নার্ভ এজেন্ট একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট।এসব অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে, ইরাক-ইরান যুদ্ধে এবং সম্প্রতি সিরিয়ায়।
রাশিয়া জানিয়েছে তারা ২০১৭ সালে তাদের রাসায়নিক অস্ত্রের সর্বশেষ সম্ভার ধ্বংস করেছে। যদিও এরপর অন্তত দুটি রাসায়নিক হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করা হয়।
বিএনএ/ ওজি