23 C
আবহাওয়া
৮:০৭ পূর্বাহ্ণ - মার্চ ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় নিহত ২৩ হাজারের কাছাকাছি

ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় নিহত ২৩ হাজারের কাছাকাছি

ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় নিহত প্রায় ২৩ হাজার

বিএনএ: ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ২২ হাজারের কাছাকাছি। ৭.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পের দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী দুই দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৭৭২ জনে।

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে তার দেশে অন্তত ১৯ হাজার ৩৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে ৭৭ হাজার ৭১১ জনেরও বেশি।

ভূমিকম্পে সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৮৪ জনে। এর মধ্যে ২ হাজার ৩৭ জন বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বলে জানিয়েছে সিভিল ডিফেন্স গ্রুপ ‘হোয়াইট হেলমেটস।’ আর সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, বাশার আল আসাদ সরকার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ১৩৪৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

সিরিয়ার আক্রান্ত অঞ্চলগুলোতে মোট আহতের সংখ্যা ৫ হাজার ২৪৫। এর মধ্যে সরকার নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ২ হাজার ২৯৫ জন ও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ২৯৫০ জন।

এবারের ভূমিকম্প তুরস্কে ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পে ১৭ হাজার মৃত্যুর সংখ্যা অতিক্রম করেছে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ নিজ নিজ দেশের দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এরদোয়ান স্বীকার করেছেন, সোমবারের ভূমিকম্পের পর সরকার আশানুরূপ দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধারকাজ শুরু করতে পারেনি।

স্থানীয় উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, প্রচুর সহায়তা দরকার। একজন চিকিৎসক বলছেন, চাহিদার ২০ শতাংশ চিকিৎসা সরঞ্জামও তাদের হাতে নেই।

মাঠপর্যায়ে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপর্যয়কর উল্লেখ করে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার বিদ্রোহীনিয়ন্ত্রিত এলাকায় কর্মরত বেসামরিক ত্রাণ সংস্থা হোয়াইট হেলমেটসের প্রধান রায়েদ আল-সালেহ জাতিসংঘের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন, ‘ভূমিকম্পের পর জাতিসংঘের পদক্ষেপ ছিল খুবই বাজে। তারা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না।’

জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএমের কর্মকর্তারা শুক্রবার বিবিসিকে বলেছেন, ‘তারা শিগগিরই ১৪টি লরি সিরিয়ায় পাঠাচ্ছেন। এসব গাড়িতে দুর্গত মানুষের জন্য তাঁবু, কম্বল, তোশক, ওষুধ, খাবার ইত্যাদি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও পশ্চিমা দেশগুলো সিরিয়ার ওপর আগে থেকেই নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। ফলে সেখানে এই বড় দুর্যোগের মধ্যেও বিদেশি সহায়তা পাঠানো কঠিন হয়ে পড়েছে। গৃহযুদ্ধকবলিত সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সরকারি বাহিনীর পাশাপাশি বিদ্রোহী সংগঠনগুলোরও নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। ফলে সেখানে ভূমিকম্পের মধ্যেও নিরাপত্তার অজুহাতে বিদেশি ত্রাণসামগ্রী পৌঁছাতে বিঘ্ন ঘটছে।’

এদিকে তীব্র শীত উপেক্ষা করে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পকবলিত এলাকাগুলোয় উদ্ধারকর্মীরা নিরন্তর পরিশ্রম করে চলেছেন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে সিরিয়ার উদ্ধারকর্মীরা অনেক জায়গায় খালি হাতেই কাজ করছেন। ভূমিকম্প থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজনের বেশির ভাগই গৃহহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। প্রতিকূল আবহাওয়ায় এখন তাদের টিকে থাকাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

তুরস্কের দুর্গত কোনো কোনো এলাকায় রাতের তাপমাত্রা মাইনাস ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যাচ্ছে। আর যুদ্ধকবলিত সিরিয়ায় ভূমিকম্প-পরবর্তী পরিস্থিতিকে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ বলে মন্তব্য করেছেন।

বিএনএনিউজ/এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ