বিএনএ, ঢাকা: আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ১৬ টাকা বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে সরকার। এর ফলে প্রতি কেজি পরিশোধিত চিনির দাম (খোলা) ১৬ টাকা বাড়িয়ে ১২০ টাকা এবং পরিশোধিত চিনির (প্যাকেটজাত) দাম ১২৫ টাকা করা হয়েছে।
বুধবার (১০ মে) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, চিনির দামের ক্ষেত্রে অ্যাসোসিয়েশনের যে দাবি ছিল সেটা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সুপারিশ করেছে। সে দামটা আমরা তাদের জানিয়ে দিয়েছি। প্রতি কেজি খোলা চিনি ১২০ টাকা এবং প্যাকেট চিনি ১২৫ টাকা সর্বোচ্চ মূল্য-এই হিসেবে বিক্রি করার জন্য আমরা তাদের জানিয়ে দিয়েছি। আমরা চেষ্টা করছি। আমরা পরশুদিন বিকেলে জানিয়েছি। এখন অবজারভেশনে আছে।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির কিন্তু দাম অনেক বেড়েছে, এটা আপনারা খবর নিলে জানবেন। সেজন্য তারা যে দাবি করেছে, এটা আমাদের যে অভিন্ন নির্ধারণ পদ্ধতি আছে, সে হিসেবে ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন হিসেব করে দেখেছে যে আসলে তাদের যে দাবি ততটা হয়তো সমন্বয় করা সম্ভব নয়। কিন্তু ১০৪ টাকা এবং ১০৯ টাকার জায়গায় ১২০ টাকা এবং ১২৫ টাকা নির্ধারণ করে সেভাবে বিপণন করতে আমরা অনুরোধ করেছি। আমরা দেখব যে, এটা তারা বাস্তবায়ন করছেন কিনা। ভোক্তা অধিকারসহ অন্যদেরও বলা হয়েছে। বাস্তবায়নে এখন তারা যাবে মাঠ পর্যায়ে।
চিনির জন্য যে ট্যারিফ হার কমানো হয়েছে, সেটি ৩১ মে পর্যন্ত বহাল আছে জানিয়ে সচিব আরও বলেন, ট্যারিফ হার আরও কমানোর জন্য এনবিআরকে চিঠি দেয়া হবে। কারণ, গত বছরের তুলনায় চিনির দাম অনেক বেড়ে গেছে। তবে এনবিআর স্বাভাবিকভাবেই চিন্তা করে দেখবে যে রাজস্ব ঘাটতি কতটা। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকে। রাজস্ব আদায় না হলে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হতে পারে। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করেই তারা সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে রাজধানীর বাজারগুলোতে, প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। পাড়া-মহল্লার দোকানে কোথাও কোথাও এর চেয়ে কিছুটা বেশি দামেও চিনি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এখন প্যাকেটজাত চিনি একেবারেই পাওয়া যাচ্ছে না। সুপারশপে কিছু প্যাকেটজাত চিনি পাওয়া গেলেও তা সীমিত। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের বাজারদরের হিসাবে, ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।
বিএনএ/এমএফ