34 C
আবহাওয়া
২:৪৮ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ‘বঙ্গবন্ধু সেতু প্রকল্পের কাজ নিয়ে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা’

‘বঙ্গবন্ধু সেতু প্রকল্পের কাজ নিয়ে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা’

'বঙ্গবন্ধু সেতু প্রকল্পের কাজ নিয়ে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা'

বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু প্রকল্পে আট হাজার কোটি টাকার কাজ পেয়েছে বলে ভুয়া ‘ওয়ার্ক অর্ডার’ তৈরি করে চক্রটি। এরপর বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চুক্তিতে কাজ দেওয়ার কথা বলে প্রায় ৪০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় তারা।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, সিআইডির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক ইমাম হোসেন। বলেন, বুধবার চক্রটির প্রধান ও তাঁর দুই সহযোগীকে রাজধানীর গুলশান ও খিলগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ইমাম হোসেন জানান, চক্রটি ‘সাবকন্ট্রাক্টে’ কাজ দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করছিল। এর প্রধান আলমগীর হোসাইন। তাঁর সহযোগী শফিকুল ইসলাম প্রকল্প পরিচালক এবং ইমরান হোসাইন প্রকল্প পরিচালক (প্রশাসন)। তাঁদের কাছ থেকে ছয়টি মুঠোফোন, বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই, ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডারের কপি ও ঠিকাদারদের সঙ্গে করা স্ট্যাম্প চুক্তিপত্রের কপি উদ্ধার করা হয়েছে।

সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, জাপানের ওবায়াশি করপোরেশন বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের জন্য ৩০০ কোটি ঘনফুট বালু সরবরাহের কাজ পেয়েছে বলে প্রচার চালান আলমগীর হোসেন। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি হিসেবে আলমগীর ও তাঁর সহযোগীরা বিভিন্ন জেলা থেকে বালু সরবরাহের জন্য ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেন। বালুভরাটের কাজ ‘সাবকন্টাক্ট্রে’ দেওয়া হবে বলে ঠিকাদারদের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। এরপর কমিশন হিসেবে বালু সরবরাহকারীদের কাছ থেকে প্রায় ৪০ কোটি টাকার মতো হাতিয়ে নেয় চক্রটি।

ইমাম হোসেন বলেন, নিজেকে বড় ঠিকাদার প্রমাণ করতে আলমগীর হোসেন গুলশান-১-এ অফিস খোলেন। অফিসের সাজসজ্জায় প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয় করেন তারা। গুলশানের একটি রেস্তোরাঁয় ১১০ ধরনের খাবার পরিবেশন করে ঠিকাদারদের আপ্যায়ন করেন। ঠিকাদারদের নিয়ে রিসোর্টে বড় বড় পার্টিও দেন। তাদের নিয়ে প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর বালু সরবরাহের নিজস্ব ডাম্পিং পয়েন্টে ‌‘শুভ উদ্বোধন’ লেখা ব্যানারে যমুনা সেতুর কাছে লালগালিচা বিছিয়ে কাজ উদ্বোধন করেন।

এসব ছবি ও ভিডিও চিত্র বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় প্রতারকরা। আলমগীর হোসেনের এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেখে টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার অনেক ঠিকাদার তাঁর গুলশানের অফিসে যোগাযোগ করেন। বিপুল পরিমাণ কমিশন দিয়ে কাজের চুক্তিপত্র করেন। এভাবে অর্থ আত্মসাতের পর তারা আত্মগোপনে চলে যান।

সিআইডি জানায়, আলমগীর হোসেন আগেও এমন প্রতারণা করেছেন। এর আগে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিনিময় ইন্টারন্যাশনাল নামে এক প্রতিষ্ঠান খুলে সৌদি আরবের জাল ১৫০টি ভিসা সরবরাহ করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। তাঁর বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার এবং প্রতারণার অভিযোগে প্রায় এক ডজন মামলা আছে।

বিএনএ/এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ