29 C
আবহাওয়া
২:৩৩ অপরাহ্ণ - মার্চ ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কারো উস্কানিতে কারখানার  ক্ষতি না করতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

কারো উস্কানিতে কারখানার  ক্ষতি না করতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

কারো উস্কানিতে কারখানার ক্ষতি না করতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

বিএনএ ঢাকা: প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে কারখানাগুলো সঠিকভাবে চালাতে মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কারো উস্কানিতে নিজ কারখানার ক্ষতি না করতে শ্রমিকদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর ) গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে বেসরকারি খাতের উন্নয়নে কাজ শুরু করে। দেশে বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য প্রথম দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে বেপজা ইনভেস্টরস্ কনফারেন্স করা হয়। সে সময় দেশে চট্টগ্রাম ইপিজেড এবং স্বল্প পরিসরে ঢাকা ইপিজেড চালু ছিল। পরবর্তীকালে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সরকার ঢাকা ও চট্টগ্রাম ইপিজেডের সম্প্রসারণ এবং কুমিল্লা ইপিজেড স্থাপন করে।

তিনি বলেন, ১৯৫৪ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তানে শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে মনোনিবেশ করেন। তার দেখানো পথ ধরে স্বাধীনতার পর এই খাতের উন্নয়নে আরও পরিকল্পনা করা হয়। বর্তমান সরকার সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে এই শিল্প বিকাশে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। বেসরকারি খাত দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। এজন্যই সরকার বেসরকারি খাতকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। শিল্প কারখানার উন্নয়ন ও বিকাশে প্রণোদনাসহ সরকারের সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত আছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

শিল্প কারখানায় মালিক-শ্রমিকদের সুসম্পর্ক স্থাপনের তাগিদ দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক ভালো না হলে উৎপাদন ব্যাহত হবে। প্রতিযোগিতার বিশ্বে শিল্প কারখানার নিরাপদ পরিবেশ জরুরি। সরকার শিল্পায়নে গুরুত্ব দিলেও আবাদি জমি রক্ষা করে পরিবেশ বান্ধব কারখানা গড়ে তোলার পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গ্রিন ফ্যাক্টরি গড়ে তুলে কর্মবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা শিল্প কারখানাগুলোর অন্যতম প্রতিশ্রুতি ও চ্যালেঞ্জ। এ লক্ষ্যে এবছর থেকে গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড দেয়া শুরু হলো। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ৬টি সেক্টরের ৩০টি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেয়া হয় এই পুরস্কার। এতে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালী যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মনোনীত ৩০টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে, পোশাক খাতের ১৫টি কারখানা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতের তিনটি এবং চা শিল্প খাতের চারটি, চামড়া শিল্প খাতের দুইটি, প্লাস্টিক শিল্পের তিনটি এবং ওষুধ শিল্প খাতের তিনটি কারখানা।

পোশাক কারখানা ১৫টির মধ্যে আছে, তারাসিমা অ্যাপারেলস লিমিটেড, রেমি হোল্ডিংস লিমিটেড, প্লামি ফ্যাশনস লিমিটেড, এআর জিন্স প্রডিউসার লিমিটেড, মিথেলা টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিও লিমিটেড, করোনি নিট কম্পোজিট লিমিটেড, ডিজাইনার ফ্যাশন লিমিটেড, কেনপার্ক বাংলাদেশ অ্যাপারেলস প্রাইভেট লিমিটেড (কেনপার্ক ইউনিট-২), গ্রিন টেক্সটাইল লিমিটেড (ইউনিট-৩), ফোর এইচ ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং লিমিটেড, মাহমুদা অ্যাটায়ারস লিমিটেড, উইজডম অ্যাটায়ারস লিমিটেড,  আউকো-টেক্স লিমিটেড এবং স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড।

খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, হবিগঞ্জ এগ্রো লিমিটেড, আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড এবং ইফাদ মাল্টি প্রোডাক্টস লিমিটেড।

চা শিল্প খাতের চারটি প্রতিষ্ঠান হলো, গাজীপুর চা বাগান, লস্করপুর চা বাগান, জাগছড়া চা কারখানা এবং নেপচুন চা বাগান। চামড়া শিল্প খাতের দুইটি কারখানা হলো, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড ও এডিসন ফুটওয়্যার লিমিটেড। এছাড়া, বঙ্গ বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস লিমিটেড, অলপ্লাস্ট বাংলাদেশ লিমিটেড এবং ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেড প্লাস্টিক খাতের অন্তর্গত।

এদিকে, ওষুধ শিল্পের তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড,ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এবংবেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ