40 C
আবহাওয়া
৩:৫২ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » অপহরণের মাস্টারমাইন্ড রোহিঙ্গা ডাকাত ছালেহসহ আটক ৬

অপহরণের মাস্টারমাইন্ড রোহিঙ্গা ডাকাত ছালেহসহ আটক ৬


বিএনএ, কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফে দুর্গম পাহাড়ে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও ডাকাতির অন্যতম মূলহোতা রোহিঙ্গা ডাকাত ছালেহসহ ৬জনকে আটক করেছে র‌্যাব।

শুক্রবার (৫মে) সন্ধ্যা ৫টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া পাহাড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। এসময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

আটকরা হলো- রোহিঙ্গা ডাকাত ছালেহ বাহিনীর প্রধান হাফিজুর রহমান ওরফে ছালেহ (৩০), নুরুল আলম নূরু (৪০) আক্তার কামাল সোহেল,(৩৭) নুরুল আলম লালু (২৪) হারুনুর রশিদ (২৩),  রিয়াজ উদ্দিন বাপ্পি(১৭)।

শনিবার (৬মে) দুপুরে র‌্যাব ১৫ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান আইন ও গণমাধ্যমের পরিচালক খন্দকার মাঈন উদ্দিন।

তিনি জানান, সম্প্রতি সময়ে টেকনাফে অপহরণের প্রবণতা বেড়েছে। এটি গণমাধ্যমের সুবাদে জানতে পারলে আমরা গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করি। আমাদের কাছে খবর আসে ছালেহ বাহিনী অপহরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।এই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা গৃহহীন পাহাড়ে অভিযান পরিচলনা করি। এসময় ছালেহ বাহিনীর প্রধানসহ ৬জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।তাদের কাছ থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি,  ৩টি একনলা বড় বন্দুক, ২টি একনলা মাঝারি বন্দুক, ৬টি একনলা ছোট বন্দুক সহ মোট ১১টি দেশীয় তৈরি বন্দুক, ১৭ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৪ রাউন্ড খালি কার্তুজ, ২টি ছুরি ও ০৬ টি দেশীয় তৈরি দা উদ্ধার করতে সক্ষম হই।

তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন, টেকনাফের দূর্গম পাহাড়ে অবস্থান করে হাফিজুর রহমান ওরফে ছালেহ ডাকাতের সরাসরি নেতৃত্বে এই চক্রটি অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়, মাদক ব্যবসাসহ অন্যান্য অপরাধ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তার এই সন্ত্রাসী দলে সদস্য সংখ্যা ১২ থেকে ১৫ জন।

ছালেহ এর নেতৃত্বে এই সন্ত্রাসী দলটি টেকনাফের শালবাগান পাহাড়, জুম্মা পাড়া ও নেচার পার্ক এলাকা, বাহারছড়া ইউনিয়ন এর নোয়াখালী পাড়া পাহাড়, বড় ডেইল পাহাড়, কছপিয়া পাহাড়,জাহাজপুরা পাহাড়, হলবনিয়া পাহাড়, শিলখালী পাহাড় এলাকায় অবস্থান করে অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করত। কখনও অটোরিক্সার চালক এবং কখনও সিএনজি চালক হিসেবে ছদ্মবেশ ধারণ করে,বিভিন্ন কৌশলে তারা কক্সবাজারের হ্নিলা, হোয়াইক্যং, উনচিপ্রাং, শ্যামলাপুর, জাদিমুড়া ও টেকনাফ ইত্যাদি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের টার্গেট করে অপহরণপূর্বক মুক্তিপণ আদায় ও ডাকাতি করে আসছে।এই পর্যন্ত তারা চালকের ছদ্মবেশে অর্ধ শতাধিক অপহরণের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করেছে।প্রশাসনের তৎপরতা ও অভিযান পরিচালনা করলে তারা নিজেদের বাঁচাতে গা ঢাকা দিতে পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমারের চলে যেতেন।

গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

বিএনএ/ শাহীন, ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ