বিএনএ, ঢাকা: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ১৯ জুলাই থেকে দেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং ব্যবস্থা চালু করেছে সরকার। প্রতিদিনই রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লোডশেডিং কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তবে কোন এলাকায় কখন লোডশেডিং, তার সময়সূচি আগেই জানিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশ মোতাবেক বুধবার (৫ অক্টোবর) লোডশেডিংয়ের সময়সূচি প্রকাশ করেছে ঢাকার দুই বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডও (ডেসকো)। একইসঙ্গে তালিকা প্রকাশ করেছে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো), এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি)।
মহামারির মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্ব বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে জ্বালানি আমদানি কমিয়ে দেয়ায় কমেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। এ অবস্থা মোকাবিলায় বিদ্যুতের উৎপাদনের সঙ্গে চাহিদার সমন্বয় করতে গত ১৯ জুলাই থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হয়েছে। কোথায়, কখন লোডশেডিং হবে, তার তালিকা এবং সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গত ১৮ জুলাই আয়োজিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের এই সিদ্ধান্ত এসেছে। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
এদিকে, জ্বালানি সঙ্কটের এই সময়ে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে রাত ৮টার পর দোকানপাট, শপিংমল খোলা দেখলেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া শুরু হয়েছে।
বিএনএ/এমএফ
Total Viewed and Shared : 148