30 C
আবহাওয়া
৫:৩৮ অপরাহ্ণ - মার্চ ২৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » কিছু কুলাঙ্গার দেশের বদনাম করে বেড়ায় : প্রধানমন্ত্রী

কিছু কুলাঙ্গার দেশের বদনাম করে বেড়ায় : প্রধানমন্ত্রী


বিএনএ, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচন আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। মানুষের উন্নতি দেখলে কিছু কুলাঙ্গার দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ও অপপ্রচার চালায়। যারা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সমর্থন দেয়নি, সেদেশের সঙ্গেই হচ্ছে তাদের আত্মীয়তা।

সোমবার (৫ জুন) আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জেলার নেতারা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আমাদের স্বাধীনতায় বিশ্বাসই করেনি। যারা গণহত্যা, লুটপাট, ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছে। তারা ও তাদের আওলাদ আছে। যারা সারাক্ষণ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেই যাচ্ছে। যারা স্বাধীনতার সময় আমাদের সমর্থন করেনি, তাদের সঙ্গেই তাদের সব আত্মীয়তা। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে দুর্ভাগ্য।

আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিদেশে গেলে সবাই আমার কাছে জিজ্ঞেস করে—আপনি বাংলাদেশকে কীভাবে এত উন্নত করলেন? আপনার হাতে কি ম্যাজিক আছে? আমি তাদের বলি—আমার হাতে কোনো ম্যাজিক নেই, আমার আছে একটি শক্তিশালী সংগঠন। আমরা সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে জনগণের জন্য কাজ করি বলেই এত উন্নত করতে পেরেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, যখনই দেশের উন্নতি হয়, তখনই এই বাংলাদেশেরই কিছু কুলাঙ্গার আছে যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সব জায়গায় বদনাম করে বেড়ায়। তারা বিদেশে দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা বলে বেড়ায়। আর কিছু দেশি-বিদেশি অনুদানের টাকা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দেয়। আর যারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, তাদের কিছু আওলাদ-বুনিয়াদ আছে, তারা সারাক্ষণ শুধু দেশের বদনাম করে বেড়ায়।

বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনে কারচুপি করা বিএনপির অভ্যাস। ভোট চুরি, গণতন্ত্র হরণ করা এটিই তাদের রেকর্ড। তাদের মুখেই এখন আবার আমরা গণতন্ত্রের কথা শুনি। যারা মিলিটারি ডিকটেটরের হাতে তৈরি দল, তাদের কাছে গণতন্ত্রের ছবক শুনতে হয়। চোরদের কাছে বাংলাদেশের জনগণ কী শুনবে, কী দেখবে।

তিনি বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে কম কারচুপি হয়নি। ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের মানুষ ভোটচুরির অপরাধে বিতাড়িত করেছে। আবার ২০০৬ সালের নির্বাচনে তারা ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোটচুরি করতে গেছে, তখনও জনগণের আন্দোলনেই তাদের বিদায় নিতে হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আজ ৭ মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক মর্যাদা পেয়েছে, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে, জয়বাংলা স্লোগান আবার ফিরে এসেছে।

বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আল্লাহর রহমতে এটুকু করতে পেরেছি এ ১৪ বছরে। ২০০৮ সালে সরকারে আসার পর একটানা ক্ষমতায় থাকার ফলে স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ আছে বলেই আজ দেশের এ উন্নতি সম্ভব হয়েছে।

এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নানামুখী ষড়যন্ত্রের কারণে আগামী নির্বাচনটা চ্যালেঞ্জিং হবে। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের সংগঠনটা যথেষ্ট শক্তিশালী। সংগঠনটা যেন আরও মজবুত থাকে, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ