38 C
আবহাওয়া
৫:৩৩ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ভ্যাকসিন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা নেই:ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

ভ্যাকসিন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা নেই:ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

ভ্যাকসিন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা নেই: ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

বিএনএ বিশ্ব ডেস্ক: সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত করোনার ভ্যাকসিন রফতানিতে ভারত সরকারের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার(৫ জানুয়ারি) বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।ফলে সিরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত করোনার ভ্যাকসিন পেতে বাংলাদেশে যে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছিল তার অবসান হয়েছে। ভারত থেকে করোনার ভ্যাকসিন পেতে বাংলাদেশের কোন বাধা থাকল না।

এর আগে সকালে এক টুইট বার্তায় সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইনডিয়ার প্রধান নির্বাহী (সিইও) আদর পূনাওয়ালা জানান, ভারত থেকে সব দেশেই ভ্যাকসিন রপ্তানির অনুমোদন আছে।

টুইটে সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান লেখেন, যেহেতু সাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, তাই দুটি বিষয় স্পষ্ট করতে হচ্ছে; সকল দেশেই ভ্যাকসিন রপ্তানির অনুমোদন আছে, বর্তমানে সৃষ্ট যে কোনো ভুল ধারণা স্পষ্ট করতে ভারত বায়োটেকের সঙ্গে যৌথ বিবৃতি দেয়া হবে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা যৌথভাবে করোনা ভাইরাসের যে ভ্যাকসিন তৈরি করেছে, এর উৎপাদন এবং বিপণেনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। কোভিশিল্ড নামের ওই ভ্যাকসিনের তিন কোটি ডোজ কিনতে গত বছরের ৫ই নভেম্বর সেরামইন স্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ৪ নভেম্বর এই টিকা আমদানি ও জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনও দিয়ে দিয়েছে। প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ৬ মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা বাংলাদেশে পাঠানোর কথা সিরাম ইনস্টিটিউটের।

এরআগে ভারত গত রোববার সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে বাংলাদেশেও তা দ্রুত পাওয়ার আশা তৈরি হয়। কিন্তু সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদর পূনাওয়ালার বরাত দিয়ে রোববার রাতে বিভিন্ন  সংবাদ মাধ্যম জানায়, রপ্তানি শুরুর আগে আগামি দুই মাস তারা ভারতের স্থানীয় চাহিদা পূরণ করতেই জোর দেবে। ওই খবরের পর বাংলাদেশের ভ্যাকসিন পাওয়া বিলম্বিত হতে পারে বলে শঙ্কা তৈরি হয়।

এদিকে,  সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে দেশটির পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধণ শ্রিংলা বলেছেন, করোনার ভ্যাকসিন পাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রাথমিকভাবে জি-টু-জি ব্যবস্থায় বাংলাদেশের জনগণের জন্য ভ্যাকসিন পাঠাবে ভারত সরকর।পরে ব্যাপক উৎপাদন নিশ্চিত করা গেলে বাণিজ্যিক চুক্তির আওতায় ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে। প্রতিবেশী বাংলাদেশের জনগণ প্রথম থেকেই ভ্যাকসিন পাবে বলেও আশ্বস্ত করেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

Loading


শিরোনাম বিএনএ