29 C
আবহাওয়া
৬:৫০ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » অরিত্রীর আত্মহত্যা: পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১৭ জানুয়ারি

অরিত্রীর আত্মহত্যা: পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১৭ জানুয়ারি

অরিত্রীর আত্মহত্যা

বিএনএ, ঢাকা : ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগের মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য থাকলেও সাক্ষীর অনুপস্থিতিতে নতুন এ দিন ঠিক করেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালত।

এ মামলার আসামি হলেন- ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখাপ্রধান জিনাত আক্তার।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ২০ মার্চ এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার।

আসামিদের নির্দয় ব্যবহার ও অশিক্ষকসুলভ আচরণে অরিত্রী অধিকারী আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণিশিক্ষক হাসনাহেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়।

২০১৯ সালের ১০ জুলাই এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ওই বছরের ২৫ নভেম্বর মামলার বাদী ও অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারীর জবানবন্দির মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর চলতি বছরের ২৩ আগস্ট অরিত্রীর মা বিউটি অধিকারী আদালতে সাক্ষ্য দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল করেছে—এমন অভিযোগে অরিত্রীকে তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দিলীপ অধিকারী ও তার স্ত্রী স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই আচরণ করেন। এ সময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরের বাসায় ফিরে অরিত্রীর বাবা-মা মেয়েকে রুমের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়নায় পেঁচিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান।

 

বিএনএ নিউজ/শহীদুল/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ