27 C
আবহাওয়া
৭:৩১ অপরাহ্ণ - মে ৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে ‘কঠোর লকডাউন’

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে ‘কঠোর লকডাউন’


বিএনএ, সাভার ,ইমরান খান: করোনার থাবায় গোটা পৃথিবী আজ নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েছে। দিন দিন করোনা ভাইরাস ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে করোনা উর্দ্ধগতি সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে ৭দিনের কঠোর লকডাউন।

এই লকডাউনে জরুরি কারণ ছাড়া ঘরের বাহিরে বের হলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে জনগণকে। কঠোর লকডাউন সফল করতে সেনা মোতায়েন, ভ্রাম্যমাণ আদালত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে সমগ্র দেশ।

ঢাকার সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে কঠোর লকডাউনে চলছে কঠোর আইনী ব্যবস্থা। কোন ভাবেই বিনা প্রয়োজনে হাট বাজারে আসতে দিচ্ছে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, চিকিৎসা সেবা ও বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করতে নির্দেশ দিচ্ছে পুলিশ বাহিনী। জরুরি পরিসেবার যানবাহন, জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন করেই যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে।

কঠোর লকডাউনে সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই থানার পুলিশ বিভিন্ন হাট বাজার স্টেশন, রাজধানীর প্রবেশ মুখে চেকপোস্ট বসিয়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছে বলে জানান দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে পুলিশ শক্ত অবস্থানে আছে। প্রতিটি পাড়া মহল্লায় পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। রাস্তার প্রতিটি মোড়ে মোড়ে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।

সকাল থেকেই সড়কে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। মানুষের চলাচল খুবই সীমিত। দোকানপাট ও কাঁচাবাজার সীমিত আকারে খোললেও ক্রেতা শুন্যতায় তা বন্ধ করে দেয় ব্যবসায়ীরা।

এদিকে কঠোর লকডাউনে কর্মস্থলে যেতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চাকরিজীবীরা। ধামরাইয়ের একটি গার্মেন্ট শ্রমিক মনোয়ার হোসেন বলেন, লকডাউনে গাড়ি না পেয়ে কর্মস্থলে যেতে পারি নাই। ফ্যাক্টরি থেকে আমাদের কোন গাড়ি ব্যবস্থা করা হয়নি। মনে হয় লকডাউনে কর্মস্থলে যাওয়া হবে না। কারণ লকডাউনে একে তো গাড়ি পাওয়া যায় না। যা ও পাওয়া যায় তা আবার গাড়ি ভাড়া বেশি লাগে।

সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন জানান, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সকাল থেকে আমরা সাভারের আনাচে কানাচে রাস্তা ঘাটে টহল দিচ্ছি। পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কঠোর লকডাউনে শক্ত অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। সরকার জরুরি সেবা বলতে যা বুঝিয়েছে এর বাইরে কোন যানবাহন চলতে দেওয়া হবে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ জরুরি সেবার প্রয়োজন হলে সেগুলো নিতে পারবে। অপ্রয়োজনে কেউ বাড়ির বাহির হচ্ছে না বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এদিকে কাওয়ালিপাড়া বাজার স্টেশনে দায়িত্বরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কামরুল ইসলাম বলেন, করোনা সংক্রমণের হার ঠেকাতে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন চলছে। অপ্রয়োজনে কাউকে আমরা বাজারে ঢুকতে দিচ্ছি না। সরকারি বিধিনিষেধ অনুযায়ী কেউ যেন বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাহির না হয় সে বিষয়েও আমরা সতর্ক করে দিচ্ছি।

ধামরাইয়ে থানাধীন কাওয়ালিপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ রাসেল মোল্লা বলেন, করোনা উর্দ্ধগতি সংক্রমণ ঠেকাতে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কঠোর লকডাউনের আজ বৃহস্পতিবার (১লা জুলাই) প্রথম দিন চলছে। মানুষের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে রাস্তায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

বিএনএ/ইমরান খান,ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ