29 C
আবহাওয়া
৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সমুদ্র ও নদী দখল-দূষণের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে হবে : ড. নজরুল

সমুদ্র ও নদী দখল-দূষণের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে হবে : ড. নজরুল


বিএনএ, কক্সবাজার : পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি রক্ষায় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন—(বাপা) আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশে বাপার সহসভাপতি পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. নজরুল ইসলাম বলেন, ইসিএ আইন অমান্য করে যারা সমুদ্র সৈকতে দখলদারিত্বের মাধ্যমে স্থাপনা নির্মাণ করে প্রাণ প্রকৃতিকে ধ্বংস করছে তাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনমত তৈরি করা হবে।

আগামী শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে বাপার মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জাতীয় মহাসমাবেশ কে সামনে রেখে ৮ রোববার (৮ জানুয়ারি) কক্সবাজার জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার জেলা বাপার সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী।

ড. নজরুল বলেন, যারা বাঁকখালী,মাতামুহুরি ও কোহেলিয়া নদীসহ কক্সবাজারের সকল শাখা নদী ও খাল ভরাট করে পানির স্রোতধারা পরিবর্তন করে প্লট বাণিজ্য করছেন তারা দেশ ও সমাজের শত্রু।

পাহাড় কেটে, পারিবেশ ও বনাঞ্চল ধ্বংস করে যারা প্রাণ প্রকৃতিতে নিষ্ঠুর আচরণ করে এ সব দানবদের মুখোশ খুলে দিতে হবে।

বিভাগীয় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাপা’র সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন,পৃথিবীর দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত আজ দ্বি খন্ডিত। লবণ উৎপাদনের জমি দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। ক্রমাগত ভাবে সমুদ্র সৈকতের বালি উত্তোলনের ফলে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। অপরিকল্পিত নগরায়ন ও কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদুৎ প্রকল্পের কারনে বায়ু দূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ফলে সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে ভাঙন দেখা দিয়েছে। দিন দিন বাড়ছে জলবায়ু উদ্বাস্তুর সংখ্যা।

বাপা সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ সমাবেশ জাতীয় প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আলমগীর কবির,জেলা বাপার সহসভাপতি যথাক্রমে এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন, এইচ এম এরশাদ,সাংগঠনিক সম্পাদক, এইচ এম নজরুল ইসলাম ও বিভিন্ন সাংগঠনিক শাখার নেতৃবৃন্দ।

সভায় বক্তারা বলেন, “দেশের বন এবং পাহাড়ের দিকে তাকালেও পরিবেশের অবক্ষয় চোখে পড়ে। এমনিতেই বাংলাদেশে বনের পরিমাণ কম। কিন্তু যেটুকু ছিল তাও দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে। শিল্পায়ন এবং নগরায়নের কারণে মধুপুর এবং গাজীপুরের শালবন বিলীন হওয়ার পথে। বসতি স্থাপন, বাগান (প্লানটেশন) ও অন্যান্য কৃষির সম্প্রসারণ, বিভিন্ন সরকারি এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বৃহদাকার নির্মাণ প্রকল্পের বাস্তবায়ন, ইত্যাদি কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের বনাঞ্চল ক্রমশ সংকুচিত ও বিপন্ন হয়ে পড়েছে এবং পাহাড়ী জনগণের জীবন—জীবিকা—সংস্কৃতি হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। সুন্দরবনের অতি নিকটে বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও অন্যান্য শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কারণে এই বনও হুমকির সম্মুখীন । যানবাহন ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের কালো ধোঁয়া, নিয়ন্ত্রণবিহীন নির্মাণকাজ, প্লাস্টিক বর্জ্য দেশের সর্বত্র মাটি ও জলাশয়সমূহকে দূষিত করছে এবং ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এতে বন্যার প্রকোপ বাড়ছে, জলাবদ্ধতা বিস্তৃত ও দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে,। খেলার মাঠ ও উন্মুক্ত স্থান হারিয়ে যাচ্ছে। তাই পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।গড়ে তুলতে হবে সামাজিক আন্দোলন।

এর আগে পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে কক্সবাজারের, বাঁকখালী নদী দখল দূষণ,প্লট বানিজ্যের চিত্র, সমুদ্র সৈকত তীরের ইসিএ এলাকায় অবৈধ স্থাপনা সমূহ,কুতুবদিয়া পাড়া নাজিরার টেক জলবায়ু উদ্বাস্তু শুটকী পল্লী জেলেদের হালচাল ও ইনানী সৈকতের ভয়াবহ দখল চিত্র কার্যক্রম পরিদর্শন করেন বাপার কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

বিএনএনিউজ/এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ