বিএনএ, কক্সবাজার : কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা পাহাড়ে গরু চরাতে গিয়ে রোহিঙ্গা ডাকাতের গুলিতে আহত রাখাল জাফর আলম (২২) মারা গেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত রাখালের ছোট ভাই মো. দেলোয়ার হোসেন ও হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
টেকনাফে পাহাড়ে গরু চড়াতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয় রাখাল জাফর আলম। গুলিবিদ্ধ রাখালকে চমেক হাসপাতালে নেয়া হলে ২৯ আগষ্ট সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত জাফর আলম (২২) উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দক্ষিণ লেদার আলীখালী এলাকার মৃত জালাল আহমদের ছেলে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নিহত যুবকের স্বজনেরা জানান, পাহাড়ে রোহিঙ্গা ডাকাতদের আস্তানা দেখে ফেলায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কামালের দলের সদস্যরা জাফরকে গুলি করেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাঁকে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহত যুবকের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো গত শনিবার সকালে গরু নিয়ে পাহাড়ে যান জাফর। যেতে যেতে তিনি রোহিঙ্গা ডাকাত কামালের দলের আস্তানার কাছাকাছি পৌঁছান। এ সময় তাঁর গরু ছিনিয়ে নিতে ছয়-সাতজন চেষ্টা চালান। একপর্যায়ে জাফরকে লক্ষ্য করে তাঁরা গুলি করেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি কোনোমতে দৌড়ে পালিয়ে আসেন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির-সংলগ্ন একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আশেকুর রহমান বলেন, জাফরের পেটে গুলি লেগেছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।
জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন মজুমদার বলেন, গুলিবিদ্ধ রাখাল জাফর আলম মারা যাওয়ার খবরটি স্বজনদের মাধ্যমে তাঁরা জানতে পেরেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
বিএনএনিউজ/এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন/এইচ.এম।