বিএনএ ডেস্ক:সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দোল পূর্ণিমা বা হোলি উৎসব। হবিগঞ্জের চা বাগানে শ্রমিকরা নেচে-গেয়ে রঙ ছিটিয়ে হোলি উৎসব পালন করছে।
রোববার (২৮ মার্চ) থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব চলবে বুধবার (৩১ মার্চ) পর্যন্ত। হোলি উৎসবে শিশু থেকে শুরু করে কম-বেশি সবাই অংশ নিয়েছে। চা-বাগানে শিশুদের মধ্যে আনন্দ ছিল বেশি। তারা রঙয়ের বোতল নিয়ে আনন্দে মেতেছে।
জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি চা-বাগানে পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, শিশু থেকে শুরু করে যুবক-যুবতীরা বোতলে রঙ ভরে নিয়ে হোলি খেলায় মেতেছে। একদিকে হোলি খেলা। তার সঙ্গে লাঠি নাচ ও গান। প্রথমে রঙ ছিটানো হয়। পরে দুইদলে বিভক্ত হয়ে এক লাঠি দিয়ে অপর লাঠির স্পর্শ করিয়ে শব্দ করানো হয়। একজন গান গাইছেন। আরেকজন মাদল বাজিয়ে তাল তৈরি করছেন। এ তালে সবাই আনন্দে মেতে উঠেছেন।
দেউন্দি চা-বাগানের প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, হোলি উৎসব হিন্দু বৈষ্ণবদের উৎসব। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাধিকা ও তার সখীদের সঙ্গে আবির খেলেছিলেন। সেই ঘটনা থেকে দোল খেলার উৎপত্তি।
তিনি বলেন, চৈত্র মাসে দোল উৎসব উপলক্ষে লাঠি নাচ হয়। হয় গান। লাঠি নাচের নামগুলো পিঠজোড়নি, সন্ধিবেঠ, তিন ডাড়িয়া, ছেটরা, রেখনি প্রভৃতি। এ পূজা উপলক্ষে তিন দিন ধরে বাগানে ছুটি। এর সঙ্গে রোববার বাগানে সাপ্তাহিক ছুটি। এ নিয়ে চারদিন ধরে চলছে হোলি উৎসব। শুধু তাই নয়, পুরো চৈত্র মাস ধরে চলে দোল পূর্ণিমার আনন্দ।
চা বাগানের বাসিন্দা সূর্য সেন বলেন, বাগানের শ্রমিকরা হোলি উৎসবে মেতে উঠেছে। প্রতি বছর এ উৎসব গুরুত্ব সহকারে দেউন্দি বাগানে পালন করা হয়ে থাকে। এ বছরও এভাবে পালন করা হচ্ছে।
একইভাবে হোলি উৎসব চলছে চান্দপুর, চন্ডিছড়া, নালুয়া, আমু, লস্করপুর, চাকলাপুঞ্জি, রেমা, পারকুল, শ্রীবাড়ি, দেউন্দি, তেলিয়াপাড়া, জগদীশপুর, সুরমা, আমতলী, রশিদপুর, মধুপুরসহ জেলার ৪১টি চা বাগানে।