36 C
আবহাওয়া
১:৩৪ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রিজেন্টের উড়োজাহাজ নিলামে, হাবীব গ্রুপ দেউলিয়া!

রিজেন্টের উড়োজাহাজ নিলামে, হাবীব গ্রুপ দেউলিয়া!


বিএনএ, ঢাকা: ঋণ খেলাপি হওয়ায় হাবীব গ্রুপের মালিকনাধীন রিজেন্ট এয়ারের দুইটি উড়োজাহাজ (এয়ার ক্রাফট) নিলামে বিক্রির দরপত্র আহ্বান করেছে ইর্স্টাণ ব্যাংক লিমিটেড । অর্থ ঋণ আদালত আইন ২০০৩ এর ১২ ধারায়এ নিলাম আহ্বান করা হয়। আগামীকাল ( ২৯ নভেম্বর) ইর্স্টাণ ব্যাংক লিমিটেড চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখায় দুপুর ২ টায় এ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদপত্রে প্রকাশিত ইর্স্টাণ ব্যাংক লিমিটেড এর নিলাম বিজ্ঞাপ্তি সূত্রে জানা যায়, হাবীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এইচজি এভিয়েশন লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা রবীন্দ্র সারণী রোড, সেক্টর-৭, উত্তরা, ঢাকা- এবং এইচজি টাওয়ার ১১৮২ জুবলী রোড, কোতোয়ালী, চট্টগ্রাম এবং ২২০ স্ট্যান্ড রোড, মাঝির ঘাট,চট্টগ্রাম।

এইচজি এভিয়েশন লিমিটেড চেয়ারম্যান ইয়াসীন আলী কাছে গত ৩১ অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত উনষাট কোটি আঠার লাখ নয় হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। এ টাকা পরিশোধ না করায় সম্প্রতি ইস্টার্ণ ব্যাংক দায়বদ্ধ রাখা উড়ো জাহাজ বিক্রি করতে সংবাদপত্রে নিলাম বিজ্ঞাপ্তি দিয়েছে। উড়োজাহাজ দু্ইটির মডেল ডেস ৮-৩১৪ কিউ , (৫০ সিট)। নির্মান কাল ১৯৯৮। উল্লেখ এয়ারলাইনসটির বহরে ছিল দুটি বোয়িং সেভেন থ্রি সেভেন ও একটি ড্যাশ । সবগুলোই এখন অচল।
এসব উড়োজাহাজ অপারেশনে ছিলেন ২০ জন পাইলটসহ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাদের কয়েক কোটি টাকা বেতন বকেয়া রয়েছে।

সুত্র জানায়, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ২০১০ সালের ১০ নভেম্বর। সিঙ্গাপুর ও ভারতসহ ১০টি দেশে ফ্লাইট পরিচালনা করে। ২০২০ মার্চে বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হওয়ার আগে ইস্টার্ণ ব্যাংকে ৬৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা ঋণ ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি ফি বাবদ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ৩০০ কোটি এবং এনবিআরের পাওনার পরিমাণ প্রায় ২০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, হাবীব গ্রুপের ৩১টি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের নামে অন্তত আড়াই হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ রয়েছে। জাতীয় সংসদে প্রকাশিত দেশের শীর্ষ ৩০০ ঋণখেলাপির তালিকায় রয়েছে হাবিব গ্রুপের নাম।

হাবীব গ্রুপ এখন দেউলিয়া। ঋণের বড় একটি অংশ পাচার করা হয়েছে। গ্রুপের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সব পরিচালকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পাশাপাশি দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত ।তবে দুই একজন ছাড়া সবাই বিদেশে চলে যেতে সক্ষম হয়েছে।

উল্লেখ, হাবীব গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা হাবীব উল্লাহ মিয়া। তার বাবা ছিলেন নজু মিয়া সওদাগর। বাবাও ছিলেন ব্যবসায়ি। পিতা-পুত্র দুজনই মাঝির ঘাটের ব্যবসায়ি। ১৯৪৭ সালে হাবীব উল্লাহ মিয়া হাবীব ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আমদানী রপ্তানির ব্যবসা শুরু করেন। হাবীব উল্লাহ তার তিন সন্তানের ইয়াকুব আলী, মাহবুব আলী ও ইয়াসিন আলী। তারাও বাবার দেখানো পথে ব্যবসা শুরু করেন। তারা প্রতিষ্ঠা করেন হাবীব গ্রুপ।

বনেদি এ গ্রুপটি পর্যায়ক্রমে সিমেন্টশিল্প, জাহাজ ভাঙা, টেক্সটাইল, বিদ্যুৎ উৎপাদন, সার কারখানা, কাগজ, এভিয়েশনসহ শিল্প খাতে ব্যবসা শুরু করেন। তারা বিভিন্ন ব্যাংক ও বিমা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেন। এনসিসি ব্যাংক লি: মেঘনা ব্যাংক লি: মেরিডিয়ান ফাইন্যান্স, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স প্রভৃতির অন্যতম অংশীদার হাবিব গ্রুপ।

এনসিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক হিসেবে ছিলেন হাবিব গ্রুপের চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী, যিনি ব্যাংকটির ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিওর দায়িত্বও পালন করেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াসিন আলী মেঘনা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক ছিলেন । ঋণ খেলাপি হওয়ার পর তাদের অপসারণ করা হয়।

বিএনএনিউজ,জিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ