বিএনএ বিশ্ব ডেস্ক: ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। যুক্তরাজ্যের পর এবার জার্মানি, ইতালি, চেক রিপাবলিক ও নেদারল্যান্ডসে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।
করোনার এই নতুন ধরন সর্বপ্রথম সাউথ আফ্রিকায় ধরা পরার পর দেশটির ওপর সবার আগে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলো যুক্তরাজ্য। ধীরে ধীরে অন্যরাও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি শুরু করে।
স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যবিষয়ক সেক্রেটারি সাজিদ জাভিদ বলেন, যুক্তরাজ্যে দুই জনের শরীরে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। তারা সাউথ আফ্রিকা থেকে যুক্তরাজ্যে যান বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
পরে এক বক্তব্যে এর ভয়াবহতা তুলে ধরেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে যারা প্রবেশ করবেন তাদের পিসিআর টেস্ট করতে হবে। করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ ফলাফল না আসা পর্যন্ত সেলফ-আইসোলেশনে থাকতে হবে বলে জানান বরিস জনসন। পাশাপাশি করোনা পরীক্ষা আরও জোরদার করার কথাও জানান তিনি।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার মুখে মাস্ক পরাসহ আবারও বিধিনিষেধ কঠোর করতে যাচ্ছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে তা আবার মূল্যায়ন করা হবে বলেও জানান বরিস জনসন।
জার্মানির আঞ্চলিক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির বাভারিয়া রাজ্যে ‘ওমিক্রনে’ আক্রান্ত দুই রোগী পাওয়া গেছে। গত ২৪ নভেম্বর সাউথ আফ্রিকা থেকে এখানে এসেছেন তারা।
ইতালির স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, দেশটির মিলানে ‘ওমিক্রনে’ আক্রান্ত এক ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন। তিনি মোজাম্বিক থেকে এখানে এসেছেন।
চেক রিপাবলিকও জানিয়েছে, নামিবিয়া থেকে দেশে ফেরা একজনের শরীরে ওমিক্রনের উপস্থিতির ধারণা করছে তারা।
নেদারল্যান্ডসের স্বাস্থ্যবিভাগ বলেছে, সাউথ আফ্রিকা থেকে দেশে ফেরা ৬১ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। তাদের শরীরেও একই নতুন ধরন ওমিক্রন থাকার শঙ্কা করছেন তারা।
সম্প্রতি সাউথ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনার এ ধরনটি আগের প্রজাতির চেয়ে বেশি সংক্রামক। ইতোমধ্যে ভাইরাস বৈচিত্র্যের এলাকা হিসেবে দেশটিকে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাজ্য ও জার্মানি। ফলশ্রুতিতে আফ্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ স্থগিত করেছে তারা।
বিএনএনিউজ/আরকেসি