বিএনএ, রাঙামাটি: পার্বত্য চট্টগ্রাম পর্যটন সম্ভাবনাময় এলাকা। এখানে পর্যটকরা আসার মতো পরিবেশ তৈরি করতে হবে। যাতে অন্যান্য এলাকার চেয়ে ভিন্ন পরিবেশ পান। পার্বত্য চট্টগ্রামকে পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস’ উপলক্ষে রাঙামাটি জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার।
তিনি আরও বলেন, এখানকার অবকাঠামো উন্নয়ন হবে, সড়কে ফুল ও গাছ থাকবে। পাহাড়ের উঁচুতে ভাস্কর্য, বাগান ও ক্যাবল কার থাকবে। যাতে পর্যটকরা পার্বত্য চট্টগ্রামে এসে শান্তি পান এমন ব্যবস্থা করা হবে।
দীপংকর তালুকদার বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটনের সম্ভাবনা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। যাতে দেশের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। লেকে হাউসবোট নামনো হচ্ছে। আশা করি তারা ভালো সেবা দিবে এবং গুণগত মান বজায় রাখবে। একটি অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখে পর্যটন শিল্প। তাই সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে পর্যটন শিল্প এগিয়ে যাবে।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) শহরের কুমার সুমিত রায় জিমনেসিয়াম হল কক্ষে রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহা. আশরাফুল ইসলাম, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, পর্যটন দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক নিউচিং মারমা।
এ সময় বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সৌন্দর্য সকলকে মুগ্ধ করে। রাঙামাটি পর্যটনের জন্য অন্যান্য স্থানের থেকে এগিয়ে রয়েছে। যেখানে পাহাড়ের সাথে সাথে কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য পর্যটকদের মুগ্ধ করেন। এজন্য এখানে উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। যারা পর্যটনের উন্নতির জন্য কাজ করবে। তাহলে পর্যটক আসবে এবং সংস্কৃতি ও বাঁচবে।
বক্তারা আরও বলেন, উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। যারা দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে অবদান রাখবে। তাছাড়া বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানের ওপর জোর দেওয়ার দাবি তোলেন অনেকে। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার।
সমাপনী বক্তব্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, পর্যটন খাতের উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। অপহরণ, সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে পড়লে পর্যটকরা আসতে চান না। এমন পরিবেশ থেকে ওঠে আসার জন্য জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশ বান্ধব পর্যটন শিল্প করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে পর্যটন বিষয়ক প্রবন্ধ পাঠ করেন রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক খোকনেশ্বর ত্রিপুরা।
এর আগে জেলা পরিষদ কার্যালয় থেকে একটি র্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জিমনেসিয়াম মাঠে এসে শেষ হয়। তারপরে চারদিন ব্যাপী পর্যটন মেলার উদ্বোধন করেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে চারদিনব্যাপী পর্যটন মেলা শুরু
বিএনএনিউজ/ কাইমুল ইসলাম ছোটন/ বিএম