34 C
আবহাওয়া
১:০৫ অপরাহ্ণ - মে ২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বিশ্বের সর্বোচ্চ টেলিস্কোপের মহাকাশে যাত্রা

বিশ্বের সর্বোচ্চ টেলিস্কোপের মহাকাশে যাত্রা


বিএনএ, ডেস্ক :বিশ্বের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় মহাকাশ বিষয়ক টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব স্পেস মহাকাশের পথে যাত্রা শুরু করেছে ।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দক্ষিণ আমেরিকার ফ্রেঞ্চ গিনিতে অবস্থিত ‘ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইএসএ)’ কৌরো মহাকাশবন্দর থেকে জেডব্লিউএসটির এই যাত্রা শুরু হয়েছে।

বিবিসি বলছে, প্রায় ৩০ বছর ধরে নকশা করার পর জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ১০০০ কোটি ডলার; যা প্রাথমিকভাবে নির্ধারিত বাজেটের প্রায় ১০ গুণ বেশি। একুশ শতকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম বৃহৎ হিসেবে মনে করা হয় জেডব্লিউএসটি প্রকল্পকে।

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ব্যবস্থাপক বিল নেলসন বলেছেন, ‘জেমস ওয়েব বিস্ময়কর এক মিশন। আমরা যখন বড় স্বপ্ন দেখি তখন সেটি থেকে কতটা অর্জন করতে পারি তার উজ্জ্বল উদাহরণ এটি। আমরা সব সময় জানতাম যে, প্রকল্পটি ঝুঁকিপূর্ণ হবে। কিন্তু বড় কিছু অর্জন করতে গেলে বড় কিছু ঝুঁকি নিতেই হবে।’

মহাকাশের উদ্দেশ্যে যখন জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ যাত্রা শুরু করে, তখন টেলিভিশনে ভাষ্য দিচ্ছিলেন নাসার রব নাভিয়াস। জেডব্লিউএসটির উড্ডয়নের মুহূর্তে কাঁপাকাঁপা কণ্ঠে তিনি বলেন, জেমস ওয়েব মহাবিশ্বের রহস্য জানতে ঐতিহাসিক যাত্রা শুরু করেছে।

একুশ শতকের অন্যতম বৃহৎ এই টেলিস্কোপের পুরো সিস্টেমের মূলে আছে সোনায় মোড়ানো সাড়ে ৬ মিটার প্রস্থের একটি আয়না। হাবল টেলিস্কোপের চেয়ে তিনগুণ প্রশস্ত এই আয়নায় প্রতিফলিত হবে সৃষ্টির শুরুর দিকের নক্ষত্রমণ্ডলের আলো। জেডব্লিউইউএসটির ‘সুপার-সেনসিটিভ’ সব সেন্সরের সেই আলোর কণা শনাক্ত করার সক্ষমতা আছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

এ ছাড়াও এতে মহাকাশের গভীরে অনুসন্ধান চালাতে সক্ষম আরও অতিরিক্ত চারটি অতি-সংবেদনশীল যন্ত্রের সঙ্গে অপটিক্স যুক্ত করা হয়েছে। সাড়ে ১৩ বিলিয়ন বছর আগের বিগ ব্যাংয়ের পরপরই সৃষ্ট আদি নক্ষত্রের সন্ধান চালানোও হবে জেমস ওয়েবের অন্যতম এক লক্ষ্য। এসব বস্তুর মধ্যে পারমাণবিক বিক্রিয়ায় জীবনের জন্য দরকারী প্রথম ভারী পরমাণু যেমন কার্বন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, ফসফরাস ও সালফারের খোঁজ করবে জেমস ওয়েব।

বিএনএ/ ওজি

Loading


শিরোনাম বিএনএ