26 C
আবহাওয়া
৩:৫৩ পূর্বাহ্ণ - মে ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » পুলিশে চাকরিদাতা চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

পুলিশে চাকরিদাতা চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার


বিএনএ, ময়মনসিংহ: পুলিশে চাকরি দেয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে জেলা গোয়েন্দা শাখার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এর আগে সোমবার (২৫ অক্টোবর) মুক্তাগাছা, ফুলপুর ও জামালপুর থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানার ছাবিল্লাহপুর গ্রামের ছামিউল আলম (৬৬), জেলার ফুলপুর উপজেলার কুড়িপাড়া গ্রামের মৃত হানিফ মিয়ার ছেলে জালাল উদ্দিন (৭৫) এবং মুক্তাগাছা উপজেলার রহিমবাড়ি গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে মারুফ মিয়া (১৯)।

এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি সফিকুল ইসলাম বলেন, ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ পরীক্ষা-২০২১ উপলক্ষে ময়মনসিংহ জেলায় একাধিক প্রতাকচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। একদল প্রতারক চাকরি পাইয়ে দেবে বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে নগদ টাকা নেয় ও অতিরিক্ত সচিব পরিচয়ে পুলিশ সুপারকে চাকরি দেয়া কথা বলে প্রতারণা করে আসছিল। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তিন প্রতারক চক্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ওসি সফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত প্রতারক মো. ছামিউল আলম নিজেকে একটি মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব পরিচয়ে ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামানের সরকার নম্বরে ফোন করে তার তিনজন প্রার্থীকে পুলিশে চাকরি দেয়ার জন্য সুপারিশ করেন। বিষয়টি পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামানের সন্দেহ হলে তাকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জামালপুর মো. ছামিউল আলমকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় পুলিশ সুপারকে ফোন করা মোবাইল ও সিম জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত ছামিউল আলম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন, সে একসময় পুলিশ বিভাগের অনিয়মিত খুচরা মোটরপার্টস সরবরাহকারি ঠিাকাদার হিসেবে কাজ করতেন। বর্তমানে তার পেশাগত কোন পরিচয় নেই। তিনি বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত সচিব পরিচয়ে বিভিন্ন দপ্তরে ফোনে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা করে আসছেন।

ওসি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত জালাল উদ্দিনের চক্রটি জেলার ফুলপুর উপজেলায় স্থানীয় একটি প্রতারক চক্রের সহায়তায় পুলিশে চাকরি দেয়ার নামে ৫ জনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নেয়। সেই ৫ জনকে ঢাকার বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা করাতেন এবং তাদের টিম লিডার কামরুল মিয়া নামে এক প্রতারক মোবাইল ফোনে চাকরি প্রার্থীদের সাথে নিজেকে ডিআইজি পরিচয়ে কথা বলে বিশ্বাস স্থাপন করাতেন।

গ্রেপ্তারকৃত জালাল উদ্দিন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে, সে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা করে আসছেন। তার সাথে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে পরিচয় আছে বলে চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণা করে আসছেন।

ওসি সফিকুল ইসলাম আরও বলেন, মো. মারুফ মিয়া কনস্টেবল পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর অনলাইনে আবেদন করেন। প্রাথমিক আবেদনেই সে বাতিল হয়ে যায়। পরে মারুফ মিয়া চাকুরি প্রার্থী হিসেবে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের জন্য কম্পিউটারে সাহায্যে ভূয়া প্রবেশপত্র তৈরি করে। সেই ভুয়া প্রবেশ পত্র নিয়ে তিনি জেলা পুলিশ লাইনসে হাজির হয়। সেখানে মারুফ মিয়ার প্রবেশপত্র ভূয়া বলে নিশ্চিত হয়।

পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মারুফ মিয়া স্বীকার করে, সে মুক্তাগাছায় কম্পিউটারের দোকানে ভূয়া প্রবেশপত্রটি তৈরির কথা স্বীকার। পরে রাতেই ওই কম্পিউটারের দোকানে অভিযান চালিয়ে কম্পিউটার জব্দ করে। তবে অন্য আসামিরা পালিয়ে যায়। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি সফিকুল ইসলাম বলেন, পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান তিনি।

বিএনএ/হামিমুর, এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ