বিএনএ, ডেস্ক: নিখোঁজ শিশু আয়াতকে (৭) শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ছয় টুকরা করে নদীতে ফেলে দেয় খুনি।চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা এলাকা থেকে এ শিশু নিখোঁজ হয়।নিখোঁজের ১০ দিনের মাথায় আবির আলী নামের এক যুবককে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এ নিখোঁজ ও হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে সিইপিজেডের আকমল আলী রোডের পকেট গেট এলাকা থেকে আয়াতদের সাবেক ভাড়াটিয়া আবির আলীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পরপরই হত্যার কারণ ও মরদেহ ছয় টুকরা করে সাগর পাড়ে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করে আবির।
সে জানায়, মুক্তিপণের জন্য অপহরণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় শিশুকন্যা আয়াতকে। পরে তার মরদেহ ছয় টুকরা করার পর তা কাট্টলী সাগরপাড়ে ফেলে দেয়া হয়।
এর আগে ১৫ নভেম্বর নগরীর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকার নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত (৭)। এর পরদিন শিশুর বাবা সোহেল রানা এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করে। তার খোঁজে পোস্টার মাইকিং ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চলে
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক ইলিয়াস খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আবির আলী নামে আয়াতদের সাবেক ভাড়াটিয়া মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে ঘটনার দিন বিকেলে আয়াতকে অপহরণ করে। পরে আয়াত চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরা করে। তারপর কাট্টলীর সাগরপাড়ে ফেলে দেয়। গ্রেফতারের পর আবির আলী সব কিছু স্বীকার করেছে। এখন আমরা লাশের টুকরোগুলো উদ্ধারে সাগরপাড়ে আছি।’
বিএনএ/ ওজি