বিএনএ,স্পোর্টসডেস্ক : দ্বিতীয় টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০৯ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান । মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) জ্যামাইকার কিংসটনের সাবিনা পার্কে খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে । প্রথম টেস্টে এক উইকেটে হেরেছিল পাকিস্তান। দুই ম্যাচের সিরিজ শেষ হলো ১-১ সমতায়।
পাকিস্তানের দেয়া ৩২৯ রানের লক্ষ্যে তাড়া করতে গিয়ে ২১৯ গুটিয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা।
বৃষ্টির কবলে পড়ে বারবার খেলায় বিঘ্র ঘটে।বৃষ্টিতে দ্বিতীয় দিনের খেলাও ভেস্তে যায় পুরোপুরি। শেষ দিনেও খেলা বন্ধ থাকে কিছুক্ষণ। তাতেও হার এড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা।
পঞ্চম দিনের সময় পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৯ উইকেট, ২৮০ রান দরকার ছিল ক্যারিবিয়ানদের ।শুরুতেই নাইটওয়াচম্যান জোসেফকে বাউন্সারে ফিরিয়ে দেয় শাহিন আফ্রিদি।
এরপর হাসান আলির বোলিং তোপ। এনক্রুমা বনার ও রোস্টন চেইসকে দ্রুতই থামান এই পেসার। ২ রান করে বনার আউট হন ভুল লাইনে খেলে। ১৫ বল খেলে চেইস করতে পারেননি রান, স্লিপে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন ইমরান বাট।
এক প্রান্ত আগলে রাখা ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে ফেরানর সুযোগও পেয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ফাহিম আশরাফের বলে স্লিপে ২৫ রানে ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের সহজ ক্যাচ ছাড়েন আবিদ আলি।
লাঞ্চের আগে অবশ্য আরেকটি উইকেট পেয়ে যায় পাকিস্তান। নুমান আলির ঘূর্ণিতে বিদায় নেন থিতু হয়ে যাওয়া জার্মেইন ব্ল্যাকউড (২৫)।
লাঞ্চের পর নুমান ভয়ংকর হয়ে ওঠা ব্র্যাথওয়েটকে ফিরিয়ে দলে স্বস্তি আনে।পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে আউট হবার আগে ১৪৭ বলে ৩৯ রান করেন তিনি ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচ বাঁচানোর আশার অনেকটাই সমাপ্তি সেখানেই। কাইল মেয়ার্স, জেসন হোল্ডার, জশুয়া দা সিলভারা পরে লড়াইয়ের চেষ্টা করেন। তাদের এই চেষ্টা ব্যর্থ
করে দেন পাক বোলাররা। সিরিজের আগের তিন ইনিংসে শূন্য করার পর এবার রানের দেখা পান মেয়ার্স। ইনিংস যদিও বড় করতে পারেননি (৩২)। হোল্ডারের সঙ্গে তার ৪৬ রানের জুটি থামান আফ্রিদি।
মেয়ার্স আউট হওয়ার পরই বৃষ্টিতে থামে খেলা। বৃষ্টির কারনে চা-বিরতি হয় আগেই। বিরতির পর হোল্ডার ও জশুয়া প্রতিরোধ গড়েন কিছুক্ষণ। ছক্কায় ইনিংস শুরু করা হোল্ডার পাল্টা আক্রমণে দ্রুত কিছু রানও বাড়ান। তাকেও ফেরান নুমান আলি।ক্যারিবিয়ানদের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
এরপর দ্বিতীয় নতুন বলে শেষ দুই উইকেট তুলে নেন আফ্রিদি। ৫২ বলে ১৫ রান করা জশুয়াকে ফিরিয়ে পূর্ণ করেন তিনি ম্যাচে ১০ উইকেট।
৯৪ রানে ১০ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা ২১ বছর বয়সী এই পেসার। ২ ম্যাচেই ১৮ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দা সিরিজও তিনিই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৩০২/৯(ডি.)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ১৫০
পাকিস্তান ২য় ইনিংস: ১৭৬/৬(ডি.)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ২১৯
বিএনএ/এমএম
